শুক্রবার নগরীর ‘হলিকেয়ার’ নামের এই মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
চন্দন সরকার (২৫) নামের এই যুবক বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বড়পাইক গ্রামে।
বেসরকারি এই মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রটি বরিশাল নগরীর নবগ্রাম রোডের একটি বহুতল ভবনের চারতলায় অবস্থিত।
মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফয়সাল আহমেদ জানান, বেলা ১১টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মৃত যুবকের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান তিনি।
‘হলিকেয়ার’ মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন হাফিজুল ইসলাম জিয়াদ নামে এক কিশোর বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ঘুমানো নিয়ে চন্দন সরকারের সঙ্গে তরিকুল নামে একজনের মারামারি হয়।
“এর জেরে কেন্দ্রের সরোয়ার হোসেনসহ এক কয়েকজন চন্দনকে মারধর করে। ভোর রাতে টয়লেটে গামছা দিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পায় এক রোগী। পরে তিনি ডাকচিৎকার দিলে সবাই গিয়ে চন্দনের ঝুলন্ত মরদেহ নামিয়ে এনে মেঝেতে রাখে।”
বর্তমানে কেন্দ্রটিতে ২৮ জন ভর্তি আছেন বলে কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন জিয়াদ ও রনিসহ কয়েকজন জানিয়েছেন।
মৃত চন্দনের মামা নিবাস মহুরী বলেন, “গেল ৭ অগাস্ট চন্দনকে হলিকেয়ারে ভর্তি করা হয়। তখন তার কোমরের বেল্ট পর্যন্ত রাখতে দেওয়া হয়নি। তাহলে চন্দন ফাঁস দেওয়ার জন্য গামছা পেল কীভাবে?”
এ ঘটনা ‘রহস্যজনক’ উল্লেখ করে তিনি এর সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেন।
এদিকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে কেন্দ্রের ভলান্টিয়ার সরোয়ার হোসেন বলেন, গতকাল রাতে চন্দন সরকার পশ্চিম দিকে পা দিয়ে ঘুমালে তরিকুল নামে এক রোগী তাকে নিষেধ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চন্দন তারিকুলকে ঘুষি মারেন।
“এ সময় তিনিসহ কয়েকজন তাকে নিবৃত্ত করেন মাত্র। মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।”