ফরিদপুরে বাড়ির ভেতরে বিষধর রাসেল ভাইপার সাপ

পদ্মা নদী তীরবর্তী ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে একের পর এক দেখা মিলছে বিষধর সাপ রাসেল ভাইপারের।

ফরিদপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 August 2021, 05:13 PM
Updated : 26 August 2021, 05:53 PM

বৃহস্পতিবার সদর ইউনিয়নের বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামের এক বাড়ি থেকে প্রায় পাঁচ ফুট লম্বা একটি রাসেল ভাইপার সাপ উদ্ধার করা হয়েছে।

ওই গ্রামের হোসাইন মোহাম্মদ সিদ্দিকের বড় ছেলে ইমন সিদ্দিকী জানান, গত বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাদের বাড়িতে সাপটি দেখতে পান তারা। 

এ সময় তার বাবা ও মা চিকিত্সার জন্য ঢাকায় রয়েছেন। উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়া তার বোন সুমাইয়া সেই রাতে তার বাবার শোবার ঘরের সামনে সাপটি দেখতে পান। তিনি তাকে সাপের কথা জানান।

টর্চ জ্বেলে তার বাবার শোবার সেমি পাকা টিনের ঘরে সাপটিকে ঢুকতে দেখে ঘরের দরজায় তালা দিয়ে দেন বলে জানান সরাকারি রাজেন্দ্র কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইমন।

তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘর থেকে সাপটিকে বের করা হয়। ঘরে ফ্রিজের পাশ থেকে সাপটিকে প্রথমে জীবিত উদ্ধারের চেষ্টা চালান তারা।

সাপের ভয়ঙ্কর ক্ষিপ্রতা দেখে পরে টেটা বিধিয়ে সাপটিকে বাইরে বের করে আনেন তারা। আঘাত পেয়ে সাপটি মারা যাওয়ায় মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে বলে জানান ইমন।

গত কয়েকদিন ধরে ইমনদের তাদের বাড়ির পেছনে বর্ষার পানি ঢুকছে। তাদের ধারণা, চরাঞ্চল থেকে বর্ষার পানিতে ভেসে এসব বিষধর সাপ লোকালয়ে প্রবেশ করছে।

চরভদ্রাসনের উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোতালেব মোল্লা জানান, গত কয়েক বছর বর্ষা মৌসুমে রাসেল ভাইপার সাপের উৎপাত অনেক বেড়েছে। রাসেল ভাইপার সাপে কাটায় এ উপজেলায় সাতজন মারা গেছে।

তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত এর একটা বিহিত দাবি করেন।

২০১৬ সালে উপজেলার নদী তীরবর্তী ও চরাঞ্চলে প্রথমে এই সাপের দেখা মেলে। ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিরল প্রজাতির রাসেল ভাইপারের দংশনে এ উপজেলায় বেশ কয়েকজন কৃষকের মৃত্যু হয়।

আগে চরাঞ্চলে এ সাপ দেখা গেলেও বর্তমানে বিষধর রাসেল ভাইপার সাপ লোকালয়ে প্রবেশ করায় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।