সেতুতে উঠতে হয় মই বেয়ে

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের হযরতপুর এলাকায় একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে যেটাতে উঠতে হয় মই বেয়ে।

রংপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 August 2021, 01:56 PM
Updated : 26 August 2021, 01:56 PM

এই সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় তার ব্যবহার করা যাচ্ছে না। বর্ষায় সেতুতে ওঠার রাস্তা পানিতে তলিয়ে যায়। আর শুকনো মৌসুমে সেতুতে উঠতে মই বেয়ে।

মিঠাপুকুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২৯ লাখ ১৭ হাজার ৪০০ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়।

বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বৈরাতীহাট সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় সেতুটি চোখে পড়বে। এই সড়ক থেকে প্রায় এক কিলোমিটার পশ্চিমে এইচআর (হাজেরা-রাজ্জাক) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ওই বিদ্যালয়ের একশ গজ উত্তর দিকে সেতুটির অবস্থান। সেতুর দুই পাশে কোনো সংযোগ সড়ক নেই।এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ প্রায় চার শতাধিক পরিবারের সদস্যদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

মই দিয়ে সেতু পার হওয়ার সময় কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দা আফছার আলীর সঙ্গে।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জানি না এ সেতু কেন বানাইছে। উপকার তো দূরের কথা দুর্ভোগের স্থান হয়ে দাঁড়াইছে সেতুটা। দুপাশে রাস্তা করে দিলেই তো মানসের কাজে লাগত ভালো কইরা।”

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা রহমত আলী বলেন, “সেতুর দুপাশে রাস্তা করা প্রয়োজন। রাস্তা না হওয়ার কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীদের চরম দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করতে হয়। রাস্ত না হলে এই সেতু কোনো কাজে আসবে না।”

মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে ওই স্থানে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। তবে সেতুর দুই পাশে রাস্তায় মাটি কেটে রাস্তাটি দৃশ্যমান করা হয়নি।

ইউনিয়ন পরিষদে রাস্তা নির্মাণের জন্য সরকারি বরাদ্দ পাওয়া গেলে সেতুর দুপাশে রাস্তা নির্মাণের কাজ করা হবে বলে তিনি জানান।

মিঠাপুকুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাশফিকুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সেতুর দুই পাশে অবশ্যই রাস্তায় মাটি ভরাট করে দেওয়া হবে। মাটি না পাওয়ার কারণে সেতুর দুই পাশে ভরাট করা সম্ভব হয়নি। দ্রুত রাস্তায় মাটি দিয়ে চলাচলে উপযুক্ত করা হবে।