বুধবার আদালতে নিহতের শ্যালক ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে এবং বৃহস্পতিবার তার সহযোগীকে আদালতে পাঠানো হবে বলেন এসআই তপন।
গ্রেপ্তার নিহতের শ্যালক সোহাগ (২০) এবং তার সহযোগী খোকন (৩০)।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এসআই তপন কুমার বাকচী জানান, মঙ্গলবার রাতে উপজেলার আটিবাজার এলাকা থেকে নিহতের শ্যালককে এবং বুধবার উপজেলার চাটগাঁও এলাকা থেকে সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহত মো. ইয়াসিন (৪০) পরিবার নিয়ে কেরানীগঞ্জের মডেল থানাধীন নজরগঞ্জ এলাকায় থাকতেন। শরিয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার মৌলভীকান্দি গ্রামের মো. আবুল কাশেমের ছেলে তিনি।
গত সোমবার রাতে উপজেলার জিনজিরা বাজার এলাকায় ‘সোহাগ, খোকন ও রাব্বি ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে খুন করার অভিযোগে নিহতের স্ত্রী মায়া বেগম বাদী হয়ে মঙ্গলবার থানায় হত্যা মামলা করেন। সোহাগ তার চাচাতো ভাই।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তপন বলেন, অপর আসামি রাব্বি এখনও পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
তপন জানান, ইয়াসিন অটোরিকশা চালানোর অন্তরালে শ্যালক সোহাগ ও আরও কয়েকজনের সঙ্গে ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, মাদক কেনাবেচাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
ঈদের আগে তারা কয়েকজন সংঘবদ্ধভাবে একটি ছিনতাই করে। সেই টাকা ভাগ বাটোয়ারা ও জুয়াখেলাকে কেন্দ্র করে শ্যালক ও দুলাভাই এর মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। এর জের ধরেই সোহাগ তার দুই সহযোগীকে নিয়ে প্রকাশ্যে ইয়াসিনকে ধাঁরালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে বলেন তিনি।