খন্দকার মোশতাকের ছেলে-নাতির বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেওয়া সেই খন্দকার মোশতাক আহমেদের ছেলে ও নাতির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে কুমিল্লার এক আদালত।

কুমিল্লা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 August 2021, 01:23 PM
Updated : 25 August 2021, 04:11 PM

পারিবারিক সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে করা এ মামলায় কুমিল্লার ৩ নম্বর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. গোলাম মাহবুব খান এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন বলে বুধবার বিকালে বাদীপক্ষের আইনজীবী ইফতেখার হোসেন জানিয়েছেন।

আসামিরা হলেন, খন্দকার মোশতাক আহমেদের ছেলে খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ বাবু এবং তার ছেলে খন্দকার ইফতেখার আহমেদ শাদ।

বাদীপক্ষের আইনজীবী ইফতেখার হোসেন জানান, আসামি খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ বাবু ও তার ছেলে খন্দকার ইফতেখার আহমেদ শাদ পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে আদালত মঙ্গলবার বিকালে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। এ আদেশের বিষয়টি বুধবার বিকালে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এ মামলার অপর আসামি সম্পত্তির কেয়ার টেকার নিজামুদ্দিন জামিনে রয়েছেন বলে জানান তিনি।

ওই সম্পত্তির ওয়ারিশ এবং খন্দকার মোশতাকের ভাগ্নে খন্দকার জাবির আহমেদ সরোয়ার এ মামলার বাদী।

খন্দকার জাবির আহমেদ সারোয়ার সাংবাদিকদের জানান, খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ বাবু তাদের পূর্ব পুরুষের সম্পত্তি দখলে রাখতে এলাকায় ‘একটি সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলেন’। এরই মধ্যে মোশতাকপুত্র বেশ কিছু সম্পত্তি জাল দলিল ও ভুয়া স্বাক্ষরে বিক্রি করে দেন।

এতে সম্পত্তির উত্তরাধিকার হিসেবে অংশীদারিত্ব পেতে তিনজনকে আসামি করে গত বছরের সেপ্টেম্বরে মামলাটি করেন তিনি।

তিনি বলেন, “বর্তমানে খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ বাবু ও খন্দকার ইফতেখার আহমেদ শাদ কানাডায় পলাতক রয়েছেন।”

সম্পত্তির অপর ওয়ারিশ কাজী রেহা কবির বলেন, “খুনি মোশতাক তার নানার পরিবারের সদস্য হলেও আদর্শগত কারণে তাদের সাথে পারিবারিক সম্পর্ক নেই।”

পলাতক আসামিদের অবিলম্বে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের দাবি জানান তিনি।

দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, মামলার আসামি খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ বাবু ও খন্দকার ইফতেখার আহমেদ শাদ বিদেশে পলাতক আছেন। পরোয়ানা হাতে পেলে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে পরামর্শক্রমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।