মঙ্গলবার দুপুরে তিনি সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম এলাকা এবং যে জমিতে ইপিজেড হবে তা ঘুরে দেখেন।
এর আগে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এক বৈঠকে অংশ নেন তিনি।
এদিকে ইপিজেড প্রতিষ্ঠার প্রতিবাদে গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক সড়কে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ এলাকায় মঙ্গলবার দুপুরে মানববন্ধন করেছেন সাঁওতালরা।
“অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কারণে গাইবান্ধায় গ্যাস লাইন সংযোগ হবে। বাঙালি নদী থেকে পানি উত্তোলন করে ইপিজেডে ব্যবহার করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বেকার ও দক্ষ যুবশক্তির চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া ইপিজেড স্থাপন হলে এই অঞ্চলের মানুষের শিক্ষা, রাস্তা-ঘাটসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে।
বৈঠক শেষে বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যানসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম এলাকায় যান। সেখানে প্রস্তাবিত ইপিজেড এলাকার জমি ঘুরে দেখেন।
ইপিজেড বিরোধী মানববন্ধন সাঁওতালদের
এদিকে ইপিজেড প্রতিষ্ঠার প্রতিবাদে দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক সড়কে সাহেবগঞ্জ এলাকায় মানববন্ধন করেছেন সাঁওতালরা।
দুপুর ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত এই কর্মসুচিতে বাদ্যযন্ত্র ও তির-ধনুক নিয়ে হাতে শতাধিক সাঁওতাল অংশ নেন।
সমাবেশে তারা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জে রংপুর চিনিকলের আওতাধীন সাহেবগঞ্জ বাগদা র্ফাম এলাকায় ইপিজেড নির্মাণ না করার দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, সাহেবগঞ্জ বাগদা র্ফাম এলাকার জমি সাঁওতালদের পৈত্রিক সম্পত্তি। এই জমিতে সরকার ইপিজেড নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
এখানে ইপিজেট নির্মাণ করা হলে সাঁওতালদের বাপ-দাদার জমি থাকবে না; তাই এখানে ইপেজেড নির্মাণের পরিকল্পনা বন্ধ করার দাবি জানান তারা।
সরকারের ইপিজেড নির্মাণ পরিকল্পনা বাতিল না করা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে তারা জানান।
একই দাবিতে গত সোমবারও এলাকায় মানববন্ধন করেছেন সাঁওতালরা।