তিতাস থানার ওসি সুধীন চন্দ্র দাস জানান, মঙ্গলবার দুপুরে শামীম হোসেন (১৪) নামের ওই কিশোরের লাশ তিতাস নদীর শিবপুর খালের মুখ এলাকা থেকে উদ্ধার করেন তারা।
শামীম তিতাস উপজেলার শিবপুর গ্রামের অটোরিকশা চালক আব্দুল মতিনের ছেলে। সে স্থানীয় একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
এর আগে সোমবার রাত ১০টার দিকে তিতাস উপজেলার দড়িকান্দি সেতুর পূর্ব পাশে মেসার্স বাদল সরকার অ্যান্ড সন্স নামের একটি লঞ্চে এ ঘটনা ঘটে।
এতে আহতদের নদীতে জেলে ও স্থানীয়রা উদ্ধার করেপ্রথমে তিতাস ও দাউদকান্দিও গৌরীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয় বলে পুলিশ জানায়।
প্রত্যক্ষদর্শী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ৩০/৪০ জনের একদল তরুণ লঞ্চের ছাদে ডিজে পার্টি করছিল। এক পর্যায়ে লঞ্চের ছাদে বিদ্যুতের জড়িয়ে কয়েকজন তরুণ দগ্ধ হয় এবং তাদের মধ্যে তিনজন নদীতে পড়ে যায়। পরে স্থানীয় দুইজনকে উদ্ধার করতে পারলেও একজনের কোনো হদিস মেলেনি।
দুপুরে শামীমের লাশ নদীতে ভেসে উঠলে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয় বলে ওসি জানান।