জেলা সদর, চরভদ্রাসন, সদরপুর ও ভাঙ্গা উপজেলার বহু গ্রামে ফসলি ক্ষেত, রাস্তা, নিচু এলাকার বসতবাড়ি তলিয়ে গেছে। ওইসব জায়গার গবাদি পশুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড [পাউবো] জানিয়েছে, পদ্মায় গোয়ালন্দ পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে এখন বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফরিদপুর সদরের নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামান জানান, তার ইউনিয়নের ২০টি গ্রামের দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। শহরে যাওয়ার তিনটি রাস্তা তলিয়ে গেছে। কয়েক হাজার একর আউশ ধান ক্ষেত পানিতে নিমজ্জিত।
এই উপজেলার ডিক্রীরচর, চরমাধবদিয়া ও অম্বিকাপুর ইউনিয়নেরও প্রায় একই অবস্থা বলে উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে।
এদিকে চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোতালেব হোসেন বলেন, উপজেলার চরঝাইকান্দা, হরিরামপুর, চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়নের ৩০টি গ্রামের ২০ হাজার পরিবার এখন পানিবন্দি।
“সরকারি খাদ্য সহায়তা পেয়েছি, ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে তা বিতরণ করা হচ্ছে।”
সদরপুরের তিনটি ইউনিয়ন দিয়ারা নারকেল বাড়িয়া, চরনাছিরপুর ও চরমাইরের ২৫টি গ্রামে ১৫ হাজার পরিবার পানি বন্দি হয়েছে।
সদরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমান বলেন, “পানিবন্দি মানুষের নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখছি। বিষয়টি স্থানীয় প্রশানকে জানানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত সরকারি সহায়তা পাইনি।”
ফরিদপুরে জেলা প্রশাসক অতুল সরকার পানিবন্দি মানুষদের বিষয়ে বলেন, “জেলার নিম্নাঞ্চলের পানিবন্দি মানুষের খবর রাখছি। সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাদের সরকারিভাবে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। এছাড়া বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের খাদ্য সহায়তা দেওয়া শুরু হয়েছে।”
জেলার সকল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষ সরকারি খাদ্য সহায়তার আওতায় আসবে বলেও তিনি জানান।