রোববার সকালে ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপদ সীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এছাড়াও তিস্তা ও ব্রহ্মপূত্র নদের পানি বেড়েছে।
তিস্তা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ৩১ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপূত্র নদের পানি চিলমারীতে ৩০ সেন্টিমিটার এবং নুনখাওয়া পয়েন্টে ৯০ সেন্টিমিটার বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানান কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান।
এদিকে নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি ঢুকতে শুরু করায় ফসলিজমিসহ বসতবাড়িতে পানি ওঠা শুরু করেছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছে বোরো চাষিরা।
এছাড়াও গ্রামের সড়কগুলোতে পানি ঢোকায় চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের সবুজ পাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল কাদের জানান, রাত থেকে পানি বাড়তে শুরু করেছে। পানি বৃদ্ধি পেয়ে দুপুরে আবার স্থিতিশীল রয়েছে।
সদরের সিএন্ডবি ঘাট এলাকার পটলচাষী হায়বর আলী বলেন, “পটলের শেষ আবাদটা পাইলাম না। তারমধ্যে রাত থেকে হু-হু করে পানি ঢোকা শুরু হয়েছে। এখন ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।”
তবে এবার দেরিতে বন্যা হওয়ায় চাষিদের তেমন ক্ষতি হয়নি। ভালোই লাভ পেয়েছেন তারা।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, তিস্তার পানি কিছুটা বাড়তে পারে। তবে ধরলা নদীর পানি স্থিতিশীল রয়েছে।