কয়েকঘণ্টার ব্যবধানে পানি আবার বিপৎসীমার নিচে নেমে গেলেও মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। নিম্নাঞ্চলের অন্তত পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর ওঠে এবং শুক্রবার বিকালে তা বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার নিচে নেমে যায়।
এর আগে চলতি মাসের ১৩ অগাস্ট বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। এরপর ১৬ অগাস্ট সকাল ছয়টা পর্যন্ত ১০ সেন্টিমিটার ওপর এবং ১৭ অগাস্ট [মঙ্গলবার] সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিপৎসীমার দুই সেন্টমিটার ওপরে থাকে।
বুধবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত পানি বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার নিচে নামে।
ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খাঁন বলেন, তিস্তার পানি বাড়লেই পানিবন্দি হয়ে পড়ছে পরিবারগুলো। এজন্য সর্বদা সতর্ক থাকতে হচ্ছে তাদের। টানা সাত দিন ধরে এমন সতর্ক অবস্থায় থেকে স্বাভাবিক কাজে নামতে পারছেন না তারা।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় বলেন, তিস্তা পাড়ের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য এপর্যন্ত ছয় মেট্রিক টন চাল এবং ২৫০ প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সবকটি (৪৪টি) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান।
শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে ভারতের কেন্দ্রীয় পানি কমিশনের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত তিস্তার উজানে ভারতের দোমোহানি পয়েন্টে ৩৮ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।