বৃহস্পতিবার দুপুরে ষাটগম্বুজ মসজিদ, যাদুঘরসহ সব বিনোদন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে।
মাদারীপুর থেকে আসা দর্শনার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, “ষাটগম্বুজ মসজিদ খুলে দেওয়ার খবর শুনে এখানে মসজিদ দেখতে এসেছি।”
শরীয়তপুর থেকে আসা আরেক দর্শনার্থী আবিদুর রহমান বলেন, “অনেক আগে থেকেই মসজিদ দেখতে আসার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু দেশে লকডাউন থাকার কারণে আসতে পারিনি। লকডাউন শেষে পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়ায় দেখতে আসলাম।”
বাগেরহাট পৌর পার্কের মালিক সাগর শেখ বলেন, করোনার সংক্রমণে বন্ধ থাকার পাঁচ মাস পরে সরকারের নির্দেশনা মেনে বৃহস্পতিবার বিনোদন কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। এখন বর্ষা মৌসুম। এ সময়ে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীরা কম আসেন।
“দীর্ঘদিন পার্কটি বন্ধ থাকায় লোকসানের মুখে পড়েছি। এতদিন কর্মচারীদের বসিয়ে বেতন দেওয়া হয়েছে। লোকসমাগম না বাড়লে ক্ষতি পেষানো দুরুহ হবে।”
বাগেরগাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, বাগেরহাটে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ ষাটগম্বুজ মসজিদসহ বেসরকারি সব বিনোদন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারা এসব কেন্দ্রে দর্শনার্থীদের প্রবেশ করতে দেবে। যারা সরকারের নির্দেশনা প্রতিপালনে উদাসীনতা দেখাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলার সব বিনোদন কেন্দ্রগুলো খুললেও সুন্দরবনের পর্যটন কেন্দ্রগুলো খোলার আদেশ দেয়নি সরকার।
খুলনার বনসংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুন্দরবনে ঢোকার পাশ-পারমিট দেওয়া বন্ধ রয়েছে। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতেও যাওয়ার অনুমতি আসেনি।
“আগামী ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে খুলে দেওয়া হবে।”