কালাই ও শার্শা উপজেলা প্রশাসন এই পরিবারগুলোর মধ্যে সহায়তা বিতরণ করে।
কালাই উপজেলায় বৃহস্পতিবার ৪৯ পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে; আর শার্শায় গত এক সপ্তাহে দেওয়া হয় অন্তত ৫৭৫ পরিবারকে।
কালাই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার বিকালে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন ইউএনও টুকটুক তালুকদার।
খাদ্যসামগ্রীর প্রতিটি প্যাকেটে ছিল ৫ কেজি চাল, ১ কেজি তেল ও ৫০০ গ্রাম লবণ।
সহায়তাপ্রাপ্ত উপজেলার জিন্দারপুর ইউনিয়নের পাঁচগ্রামের এক ব্যক্তি বলেন, করোনা মহামারীতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অসহায় অবস্থায় দিন কাটছে। ৩৩৩ নম্বরে ফোন দেওয়ার পরপরই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে।
আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের হারুঞ্জা বাহির পারা গ্রামের একজন বলেন, “আমার হাত ভেঙে যাওয়ায় কাজ করতে পারি না। তাই ৩৩৩ নম্বরে ফোন দিয়ে খাদ্য সহায়তা পেয়ে পেয়েছি।”
যশোরের শার্শার বেনাপোলে ৫০০ পরিবার প্রতি সপ্তাহে খাদ্য সহায়তা পাচ্ছে ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে।
এখানে প্রতি পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আটা, দুই লিটার তেল, ১ কেজি ডাল ও ১ কেজি লবণ দেওয়া হচ্ছে।
চলতি সপ্তায় ৫৭৫টি পরিবার এই খাদ্য সহায়তা পেয়েছেন জানিয়ে শার্শা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লাল্টু মিয়া বলেন, যারা ৩৩৩ নাম্বারে ফোন করছে তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তবে সামাজিকভাবে তারা যাতে হেয় প্রতিপন্ন না হয় তার জন্য পরিচয় গোপন রাখা হচ্ছে।
“প্রতিদিন অন্তত ৫০ থেকে ১০০ জনকে সরকারের এ ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে।”
খাদ্য সহায়তা নিতে আসা শার্শার স্বরূপদাহ গ্রামের ষাটোর্ধ্ব দুই নারী বলেন, করোনার মধ্যে কাজ নেই। লজ্জায় কারো কাছে বলতে পারেননি। হাত পাততেও পারেননি। তাই ৩৩৩ নম্বরে ফোন দেওয়ার বিষয়টা জানার পর সেখানে ফোন দেন।
ফোন দেওয়ার পর চাল, ডালসহ খাদ্য সামগ্রী পেয়ে তারা খুব খুশি।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) রাসনা শারমীন মিথিলা বলেন, যারা ফোন দিয়ে এই সহায়তা নিচ্ছেন তাদের ডাটাবেজ ও তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। একজন উপকারভোগী যাতে বার বার এই সহায়তা নিতে না পারে তার জন্যই এই ডাটাবেজ।
“যারা সরকারের এই খাদ্য সহায়তা গ্রহণ করবেন তাদের অবশ্যই নিজ নিজ জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা দিতে হবে। তবে তাদের পরিচয় গোপন রাখা হবে। প্রতি সপ্তাহে এ তালিকায় অন্তত ৫ শতাধিক পরিবার এ সহায়তা নিচ্ছেন।”
রাসনা শারমীন বলেন, সহায়তা চাওয়া ব্যক্তি ভাতা বা ভিজিডি সুবিধাভোগী হলে, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বা সরকারি যেকোনো ত্রাণ পেলে, মাসিক আয় ৫ হাজার টাকার বেশি হলে, পরিবারের সদস্য সংখ্যা তিনজনের কম হলে সহায়তার জন্য বিবেচিত হবেন না।