হেফাজত থেকে আসামির পলায়ন, নোয়াখালীর ৩ পুলিশ বরখাস্ত

ঢাকা থেকে নোয়াখালী আনার পথে হোটেল থেকে দুই আসামি পালিয়ে যাওয়ার পর তাদের দায়িত্বে থাকা তিন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

নোয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 August 2021, 06:55 PM
Updated : 18 August 2021, 06:55 PM

বুধবার মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া এলাকায় হাইওয়ে সড়কের পাশের একটি হোটেলের শৌচাগার থেকে তারা পালিয়ে যায়।

ঢাকায় ওই দুই আসামির ডিএনএ পরীক্ষা শেষে নোয়াখালী ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটে বলে নোয়াখালী পুলিশ জানিয়েছে।

এই ঘটনা তদন্তে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) দীপক জ্যোতি খীসাকে আহবায়ক করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

পলাতক দুই আসামি হলেন সোনাইমুড়ীর বাট্টা এলাকার মজা মিয়া বেপারী বাড়ির প্রয়াত চাঁন মিয়ার ছেলে মো. জুয়েল (২৪) ও বগাদিয়া গ্রামের সওদাগর বাড়ির প্রয়াত আবদুল লতিফের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৮)।

বরখাস্ত তিন পুলিশ হলেন নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি থানার এসআই ফারুক হোসেন, কনস্টেবল আব্দুল কুদ্দুস ও নারী কনস্টেবল আসমা আক্তার।

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সুপার শহীদুল ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশে আসামি মো. জুয়েল ও দেলোয়ার হোসেনকে বুধবার ঢাকায় ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়। ডিএনএ পরীক্ষা শেষে ঢাকা থেকে ফেরার পথে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া এলাকায় হাইওয়ে সড়কের পাশের আল মদিনা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে দুপুরের খাবারের সময় আসামিরা শৌচাগারে যাওয়ার কথা বলেন। তখন পুলিশ পাহারায় তারা হোটেলের শৌচাগারে যান।

ওই সময় বাইরে দরজার সামনে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জিসান আহম্মেদ ও কনস্টেবল আব্দুল কুদ্দুস পাহারারত ছিলেন।

“শৌচাগার থেকে আসামিদের বের হতে বিলম্ব দেখে পুলিশ সদস্যরা দরজা খুলে দেখতে পান শৌচাগারের জানালা ভেঙে তারা পালিয়েছে।”

এসপি শহীদুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার জন্য সোনাইমুড়ি থানার এসআই ফারুক হোসেন, কনস্টেবল আব্দুল কুদ্দুস ও নারী কনস্টেবল আসমা আক্তারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এছাড়া পরিদর্শক (তদন্ত) জিসান আহম্মেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চট্টগ্রাম রেঞ্জ অফিসকে অবহিত করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর দোষীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থানায় পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।