শেখ রাসেল সেতুর প্রতিরক্ষা বাঁধে ধস

শেখ রাসেল কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সেতুর রক্ষা বাঁধের একটি অংশ হঠাৎ ধসে গেছে।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 August 2021, 10:21 AM
Updated : 15 August 2021, 10:21 AM

রোববার ভোরে হরিপুর এলাকায় এই বাঁধের প্রায় ১০০ মিটার ধসে পড়ে, যার অনেকটাই গড়াই নদে বিলীন হয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, ভোর ৫টার দিকে হঠাৎ বাঁধের পানিতে হাঠাৎ ভাঙন দেখা দেয়। এ সময় আশপাশের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভাঙন শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে বাঁধের ওই অংশটি পানিতে তলিয়ে যায়।

চার বছর আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বাস্তবায় করে ৫০৪ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতু।

ভাঙনে স্থানীয় সেলিনা খাতুনে ঘর ভেঙে পানিতে তলিয়ে যায়।

তিনি বলেন, “গত বছর একবার এই বাঁধ ভাইঙি যায়। সরকার ওই ভাঙা সারিইনি। ইবার আবার নতুন কইরি এমন ভাঙাই ভাইঙলি যে রাত্রি ঘুমাব কোনে সেই চিন্তা কত্তিচি।”

স্থানীয় বাসিন্দা জামাল মন্ডলের অভিযোগ, “এই কাম করার সুমায়ই আমরা বাধা দিছিলাম, ঠিকভাবে নিচি থিন যেম্বা কইরি করার কথা ছিলি সেই রকম না করায় এলাকার সব লোক ক্ষেপি গিছিলি।” 

সেতু নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা এলজিইডি কুষ্টিয়ারর নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুর রহমান মন্ডল বলছেন, “যথাযথ কারিগরি দক্ষতাসহ নদী শাসনের কাজ আমাদের নয়; সে কারণে সঠিকভাবে এই কাজটি করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ২০১৭ সালে সেতুটি উদ্বোধনের সময়ই পত্র প্রেরণসহ অনুরোধ করা হয়। অথচ বিষয়টি এখনও অমীমাংশিত থাকায় সেতুটিই আজ চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।”

তিনি বলেন, প্রতিরক্ষার বাঁধটি সরকারের যে দপ্তরই করুক না কেন টাকার উৎস তো একই! তাহলে খামাখা নিজেরা দায় না নিয়ে দুই দপ্তরের মধ্যে এই অনাকাঙ্ক্ষিত রশি টানাটানি খুবই দুঃখজনক।

যেহেতু এসব জরুরি আপদকালীন কাজ করার মতো কোনো সক্ষমতা এলজিইডির নেই, সেকারণে কাজটি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে করার জন্য তিনি অনুরোধ জানিয়ে তিনি পত্র প্রেরণ করেছেন বলে জানান।

অন্যদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার উদ্দিন বলেন, ওই প্রকল্পটির অথরিটি এলজিইডি; ওটার কোন দায় পানি উন্নয়ন বোর্ড নেবে না।