দুই রকম দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পর থেকে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বলে উপজেলার কাকাইলছেও নৌপুলিশ ফাঁড়ির এসআই বিদ্যুৎকুমার দাশ নিজে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, গত ১১ এপ্রিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা নিতে গেলে তাকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছিল। সেই টিকা ফুরিয়ে যাওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ে তিনি দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারেননি। সম্প্রতি এই টিকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসার খবর পেয়ে শনিবার তিনি টিকা নিতে যান।
“কর্তব্যরত স্বাস্থ্যকর্মীকে আমি অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিতে বলি। কিন্তু তিনি আমাকে দিয়ে দেন সিনেফার্মের ভেরোসেল। তখন থেকে দুশ্চিন্তায় রয়েছি।”
স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা তাকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে দ্রুত যোগাযোগের জন্য বলেছেন। তিনি এখন ফাঁড়িতে আছেন।
আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
“দুই রকম টিকায় কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে কি না তা এখনই বলা যাচ্ছে না।”
জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন মুখলিছুর রহমান উজ্জ্বল বলেন, একজনকে দুই রকম দুই ডোজ টিকা দেওয়ার নির্দেশনা দেয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
“দুই রকম টিকায় কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে কিনা সে বিষয়টিও জানা নেই আমাদের। খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”