বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার হাউদার পাড় গ্রামে পিটুনিতে ওই গৃহবধূ আহত হন। শুক্রবার ভোরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত হাজেরা বেগম (৩৬) ওই গ্রামের সাহেব আলীর স্ত্রী।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানায়, হাউদার পাড় গ্রামের মোন্নাফ মিয়ার ছেলে সাহেব আলীর সাথে প্রায় ১৫ বছর আগে হাজেরা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের তিন মেয়ে রয়েছে।
পরপর তিন মেয়ে হওয়ায় তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ চলছিল বলে পরিবারের সদস্যরা জানান।
নিহতের ছোট ভাই ফজর আলী বলেন, ছেলের আশায় সাহেব আলী দ্বিতীয় বিয়ের অনুমতি চান স্ত্রীর কাছে। এ ঘটনায় একাধিকবার হাজেরা বেগমকে শরীরিক নির্যাতন করেন তিনি।
“বৃহস্পতিবার রাতে হাজেরা বেগমকে বেধরক মারপিট করেন সাহেব আলী। হাজেরা গুরুত্বর অসুস্থ হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শুক্রবার ভোরে মারা যান।”
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের অধ্যাপক ডা. আসমাউল হুসনা লাশের ময়নাতদন্ত করেছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হাজেরার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত থাকলেও তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
পীরগাছা থানার ওসি আজিজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ বিষয়টি আমি জেনেছি। এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”