পৌরসভার গাড়িচালক টুটুল মিয়া প্রথম বিষয়টি খেয়াল করেন বলে তিনি নিজে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
তিনি বলেন, “করোনাভাইরাস মাহমারীর শুরুতে আমি বাড়ি যাই। পরে ফিরে এসে একটি রোলার আর একটি গার্বেজ ট্রাক দেখতে পাইনি। তখন পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী খন্দকার ফিরোজ আহম্মেদ ও তৎকালীন মেয়র শহীদুল ইসলাম বাবু রাঢ়িকে বিষয়টি জানাই। তখন মেয়র বলেছিলেন, ‘বিষয়টি তোমার জানার দরকার নেই’।”
এ বিষয়ে শহিদুল ইসলাম বাবু বাঢ়ি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি দায়িত্ব ছাড়ার সময় তিনটি ট্রাক ও তিনটি রোলারসহ সব হিসাব-কিতাব বুঝিয়ে দিয়েছি।”
তিনি বলেন, “আমাদের পৌরসভার ভিতরে কিছুদিন একটি ট্রাক পড়ে ছিল। সেটি এখন দেখছি না। শুনেছি আগে তিনটি রোলার ছিল। এখন দুটি আছে। আর একটির খবর বলতে পারব না।”
শহিদুল ইসলাম বাবু বাঢ়ির বিদায়ের পর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মেয়রের দায়িত্ব নেন আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, “হারানো রোলার ও ট্রাকের বিষটি নিয়ে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। সর্বশেষ গত জুলাই মাসে কাউন্সিলরদের সঙ্গে মাসিক সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে আগামী দুই মাসের মধ্যে অভ্যন্তরীণ অডিট সম্পন্ন করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।”