ঠাকুরগাঁওয়ের মিলি হত্যা: ছেলেসহ আটক ২

ঠাকুরগাঁও শহরের গৃহবধূ সান্তনা রায় ওরফে মিলি চক্রবর্তী হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের ছেলে ও এক বিএনপি নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 August 2021, 07:05 PM
Updated : 12 August 2021, 07:05 PM

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেলা শহরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঠাকুরগাঁও সিআইডির পরিদর্শক মো. আব্দুর রাজ্জাক।

আটকরা হলেন ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সোহাগ (৪০) ও নিহত মিলি চক্রবর্তীর ছেলে অর্ক রায় রাহুল (২৮)।

গত ৮ জুলাই সকালে শহরের শহীদ মোহাম্মদ আলী সড়কের দুইটি বিপণিবিতানের মাঝের ফাঁকা সরু গলি থেকে গৃহবধূ সান্তনা রায় ওরফে মিলি চক্রবর্তীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে শহর জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এরপর ১০ জুলাই ঠাকুরগাঁও সদর থানার এসআই নির্মল কুমার রায় বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

সিআইডি পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত ৫ অগাস্ট মিলি হত্যাকাণ্ডের মামলাটি পুলিশ থেকে তদন্তের জন্য সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে আমরা তদন্তের কাজ শুরু করি।”

তিনি বলেন, মামলার তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার রাতে শহরের কালিবাড়ি মোড় থেকে আমিনুল ইসলাম সোহাগ ও মোহাম্মদ আলী সড়কের বাড়ি থেকে মিলির ছেলে অর্ক রায় রাহুলকে আটক করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।  

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মিলির লাশ উদ্ধার পর তার পরিবারের সদস্যদের মামলা দিতে বলা হয়েছিল। প্রথমে তারা রাজিও হয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা মামলা দেয়নি।

“প্রথম থেকেই আমাদের সন্দেহ ছিল কেউ মিলিকে হত্যা করে এবং বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য তার লাশ দুইটি বিপণিবিতানের মাঝের ফাঁকা সরু গলি ফেলে রাখে।”

তাই পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয় এবং বিষয়টি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয় বলে তিনি জানান।

সিআইডি কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “মিলি হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন তথ্য আমরা সংগ্রহ করেছি। এর সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে তাদের খুব শীঘ্রই আইনের আওতায় আনা হবে।”