বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে শেখ সায়রা খাতুন মেডিকেল কলেজ জিমনেশিয়াম টিকা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
টিকাগ্রহীতা মমতাজ বেগম (৬৫) গোপালগঞ্জ শহরের বেদগ্রাম ফায়ার সার্ভিস রোডের নওয়াব আলীর চৌধূরীর স্ত্রী।
তবে সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ও টিকাদান কর্মসূচির সমন্বয়কারী সাকিবুর রহমান বলেন, “আমি ওই নার্সকে ডেকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করেছি।
“নার্স বলেছে, টিকা গ্রহণকারী প্রথম টিকা নেওয়ার পর হাত বের করে বেঞ্চ বসেছিলেন। তাই নার্সরা মনে করছিলেন তিনি টিকা নেবেন। নার্স দ্বিতীয় বার টিকা দিতে গেলে ওই নারী যখন বলেন, ‘আমি একটা টিকা নিয়েছি’ তখন আর দেয়নি। শুধু তার শরীরে সুইয়ের খোচা লেগেছে।”
তারপরও ওই নারীকে সমস্যা হলে যোগাযোগের জন্য মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে বলেন তিনি।
মমতাজ বেগম বলেন, “আমি টিকা কেন্দ্রে প্রবেশের আগে টিকার কার্ড জমা দিই। পরে নারী টিকাদান কক্ষে প্রবেশ করি।
“আমি সেখানে এক বেঞ্চে বসি। আমার আগে আরও চারজন মহিলা ছিল। তাদের টিকা দেওয়া শেষ হলে একজন নার্স এসে আমাকে টিকা দেন।
“টিকা দেওয়ার পর একটু মাথা ঘুরছিল। আমি ওই কক্ষের বেঞ্চ চেপে ধরে বসে থাকি। ২-৩ মিনিট ‘পরে অন্য এক নার্স এসে আমাকে বলে তাড়াতাড়ি হাত সরান এই বলে আরও একটা টিকা দেয়।
“আমি তাদের বলেছিলাম, ‘আমি তো একটু আগে একবার টিকা নিয়েছি, এবার কি দুইটা নিতে হবে?’ আমার কথা না শুনেই দিয়ে দিল।
“এরপর আমি বারবার বলেছিলাম, ‘আমাকে আবার টিকা দেওয়া হল কেন? এবার কি দুইটা নিতে হয়?”
তবে এ বিষয়ে কর্তব্যরত ওই দুই নার্সের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন সুজাত আহমেদ বলেন, “টিকা দেওয়ার বিষয়টা আমি শুনেছি। এ বিষয়ে টিকাদান কর্মসূচির সমন্বয়কারী বলতে পরবে।”