জেলার রামকৃষ্ণপুর এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন নানা ধরনের শত শত যানবাহন চলাচল করে। এতে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনাও হচ্ছে।
ছোটখাট যানবাহন এই সেতু দিয়ে যেতে পারলেও পণ্যবাহী ভারী যানবাহনগুলোকে যেতে ১০/১২ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হয়।
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা থেকে এ পথে নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা শহরের দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার।
তিনি বলেন, সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় কাঠের সাঁকো দেওয়া হয়। এ পথে ওই দুটি উপজেলা শহরে পণ্যবাহী ভারী যানবাহন নিয়ে যেতে আরও ১০/১২ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হয়।
পাঁচবিবি উপজেলার দামোদরপুর গ্রামের ভ্যান চালক ওয়াহেদুল ইসলাম বলেন, “হামরাই রিকশাভ্যান চলাই, ভয় লাগে। রিকশাভ্যান, অটো, সিএনজি উল্টে যায়, ভেঙেচুরে যায়, আবার বড় গাড়ি চলাচল নিষেধ থাকলেও কেউ মানে না। এই কাঠের সাঁকো দিয়ে পার হয়, এক্সিডেনও হয়; কী করমো কোনো উপায় তো নাই।”
সদর উপজেলার জামতলী গ্রামের ফজলুর রহমান, পাঁচবিবি পৌরসভার মোটরসাইকেল চালক হাবিবুল বাশার, নওগাঁর ধামইরহাটের পিক-আপ চালক অফিজুর রগহমানসহ অনেক যানবাহন চালক বলেন, দুর্ঘটনার কথা তারা জানেন। জীবন ও যানবাহনের ঝুঁকির কথা জেনেও বাধ্য হয়ে তারা এ পথ দিয়ে যাতায়াত করছেন; না হলে গন্তব্যে পৌঁছাতে আরও ১০/১২ কিলোটার ঘুরতে হবে।
তারা তাড়াতাড়ি সেতুটি নির্মাণ করার দাবি জানান।
পাঁচবিবি উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আব্দুল কাইয়ূম বলেন, “সেতুটি নির্মাণের জন্য চেষ্টা অব্যাহত আছে। জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনায় এনে দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুটি যাতে নির্মাণ বা সংস্কার করা যায় সে ব্যবস্থা করা হবে।”