জয়পুরহাটে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে চলছে যানবাহন

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থেকে নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা সড়কে একটি সেতু ভেঙে যাওয়ার পর কাঠের সাঁকো দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মোমেন মুনি জয়পুরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 August 2021, 05:40 PM
Updated : 11 August 2021, 05:41 PM

জেলার রামকৃষ্ণপুর এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন নানা ধরনের শত শত যানবাহন চলাচল করে। এতে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনাও হচ্ছে।

ছোটখাট যানবাহন এই সেতু দিয়ে যেতে পারলেও পণ্যবাহী ভারী যানবাহনগুলোকে যেতে ১০/১২ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হয়।

স্থানীয় আয়মা রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহেদুল আলম বেনু জানান,  প্রায় দুবছর আগে ভেঙে যায় সেতুটি। তখন থেকে কাঠের একটি সেতু তৈরি করে তার উপর দিয়ে প্রতিদিন শত শত মাইক্রোবাস, পিক-আপ ভ্যান, প্রাইভেট কারসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করছে যাত্রী ও চালকদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে।

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা থেকে এ পথে নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা শহরের দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার।

তিনি বলেন, সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় কাঠের সাঁকো দেওয়া হয়। এ পথে ওই দুটি উপজেলা শহরে পণ্যবাহী ভারী যানবাহন নিয়ে যেতে আরও ১০/১২ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হয়।

“এছাড়া এরই মধ্যে ছোটবড় অনেক দুর্ঘটনায় অনেক যাত্রী আহত হয়েছে; অনেক যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।“

পাঁচবিবি উপজেলার দামোদরপুর গ্রামের ভ্যান চালক ওয়াহেদুল ইসলাম বলেন, “হামরাই রিকশাভ্যান চলাই, ভয় লাগে। রিকশাভ্যান, অটো, সিএনজি উল্টে যায়, ভেঙেচুরে যায়, আবার বড় গাড়ি চলাচল নিষেধ থাকলেও কেউ মানে না। এই কাঠের সাঁকো দিয়ে পার হয়, এক্সিডেনও হয়; কী করমো কোনো উপায় তো নাই।”

সদর উপজেলার জামতলী গ্রামের ফজলুর রহমান, পাঁচবিবি পৌরসভার মোটরসাইকেল চালক হাবিবুল বাশার, নওগাঁর ধামইরহাটের পিক-আপ চালক অফিজুর রগহমানসহ অনেক যানবাহন চালক বলেন, দুর্ঘটনার কথা তারা জানেন। জীবন ও যানবাহনের ঝুঁকির কথা জেনেও বাধ্য হয়ে তারা এ পথ দিয়ে যাতায়াত করছেন; না হলে গন্তব্যে পৌঁছাতে আরও ১০/১২ কিলোটার ঘুরতে হবে।

তারা তাড়াতাড়ি সেতুটি নির্মাণ করার দাবি জানান।

সেতুর পর্শ্ববর্তী পশ্চিম রামকৃষ্ণপুর গ্রামের ফজলুর রহমান, পলাশ মহন্ত, পূর্ব রামকৃষ্ণপুর গ্রামের শাহাদৎ হোসেন, পাঁচবিবির ব্যবসায়ী মোয়াজ্জেম হোসেন, নওগাঁর ব্যবসায়ী জামিউল হকসহ স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা বলেন, অনেক ঘুরে ধান, চাল, পাট, শাক-সবজিসহ কৃষিপণ্য ও হরেক রকমের ব্যবসায়িক সামগ্রী বাজারজাত করতে গেলে সময় ও খরচ বেশি হয়। লাভ তো হয়ই না অনেক সময় লোকসানও গুনতে হয়।

পাঁচবিবি উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আব্দুল কাইয়ূম বলেন, “সেতুটি নির্মাণের জন্য চেষ্টা অব্যাহত আছে। জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনায় এনে দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুটি যাতে নির্মাণ বা সংস্কার করা যায় সে ব্যবস্থা করা হবে।”