শেরপুরে বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু

শেরপুরে মুশলধারে বৃষ্টির মধ্যে বজ্রপাতে চার উপজেলায় দুই শিশুসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

শেরপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 August 2021, 02:00 PM
Updated : 11 August 2021, 02:00 PM

এছাড়া বুধবার দুপুরে বজ্রপাতে পৃথক পৃথক স্থানে আরও চারজন আহত হয়েছে।

নিহতরা হলেন, শেরপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে কৃষি শ্রমিক মোস্তফা ওরফে ঝন্টু মিয়া (৪০), নকলা উপজেলার লাভা গ্রামের বদিউজ্জামানের ছেলে কৃষি শ্রমিক আজিজুল হক (৩৫), শ্রীবরদী উপজেলার গোসাইপুর গ্রামে আব্দুল হামিদের ছেলে আরমান (১১) এবং ঝিনাইগাতীর উপজেলার মালিঝিকান্দা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রাসেল (১৪)।

শেরপুর থানার ওসি মনসুর আহম্মেদ, নকলা থানার ওসি মুশফিকুর রহমান, ঝিনাইগাতী থানার ওসি ফায়েজুর রহমান এবং    শ্রীবরদী থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস এই নিহতদের খবর দিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বুধবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত শেরপুরে বজ্রসহ মুশলধারে বৃষ্টি হয়।

দুপুরে শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামে কয়েকজন কৃষি শ্রমিক জমিতে ধানের চারা রোপন করছিলেন। এ সময় বিকট শব্দে বজ্রপাত হলে মোস্তফা ওরফে ঝন্টু মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান।

একই সময়ে আরও দু’জন কৃষি শ্রমিক আহত হন।

সেখানে আহতরা হলেন, ওই গ্রামের জোৎনা আলী ছেলে আবু সাইদ (৩৪) এবং ফজু মিয়ার ছেলে বদু মিয়া (৩৫)।

এ দুজনকে শেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আবু সাইদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

এদিক, নকলা উপজেলার লাভা গ্রামে বুধবার দুপুরে জমিতে ধানের চারা রোপনের সময় বজ্রপাতে কৃষি শ্রমিক আজিজুল হক ঘটনাস্থলেই মারা যান।

এ সময় বাবু ও হুমায়ূন কবির নামে আরও দুজন আহত হয়েছে। তাদেরকে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

শ্রীবরদী উপজেলার গোসাইপুর গ্রামে বুধবার দুপুরে মুশলধারে বৃষ্টির সময় মাঠে খেলতে গিয়ে নানা বাড়িতে বেড়াতে আসা স্কুলছাত্র আরমান এবং একই সময়ে ঝিনাইগাতীর উপজেলার মালিঝিকান্দা ইছামারী পাড়া গ্রামে খেলতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যায় স্কুলছাত্র রাসেল।