বন্যপ্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তারা মঙ্গলবার রাতে কুমিরটি পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন।
গত সোমবার দুপুরে ফরিদপুর সদরের নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের জলিল মোল্লার ডাঙ্গী গ্রামে এলাকাবাসী কুমিরটিকে জাল দিয়ে ধরে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তরিবুর রহমান জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে ফরিদপুরে আটকা পড়া ১৩/১৪ বছর বয়সী মাদী কুমিরটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি জানান, এটি নিয়ে এই পার্কে মিঠাপানির কুমিরের সংখ্যা হলো ৬। এর আগে ২০১৬ সালের মাগুরায় মধুমতী নদী থেকে এলাকাবাসী মিঠাপানির একটি পুরুষ কুমির আটক করে; পরে সেটি গাজীপুরের সাফারি পার্কে হস্তান্তর করেছিল।
বাগেরহাটের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির হাওলাদার সাংবাদিকদের জানান, ফরিদপুর সদরের নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের জলিল মোল্লার ডাঙ্গী গ্রামের একটি জলাধারে কুমিরটি আস্তানা গেড়েছিল। গত ২৪ জুলাই সকালে সেটিকে দেখতে পান এলাকাবাসী। দুই দফায় কুমিরটিকে উদ্ধারে ব্যর্থ অভিযান চালায় বন্যপ্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।
পরে গত সোমবার দুপুরে সেটিকে আটক করেন স্থানীয়রা।
“এই মেয়ে কুমিরের দৈর্ঘ্য সাত ফুট ও চওড়া দেড় ফুট। পার্কে পুরুষ কুমির রয়েছে; তাই উদ্ধারকৃত কুমিরটিকে সাফারি পার্কে রাখার সিদ্ধান্ত নেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।”
সাফারি পার্কের সুপারভাইজার মো. আনিসুর রহমান জানান, ধরা পড়ার সময় কুমিরটি স্থানীয় লোকজনের হাতে সামান্য আঘাত পেয়েছে। তারপরও এটির শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। বাহ্যিকভাবে বড় কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। কুমিরটির ওজন ৮০ কেজির কাছাকাছি। এটিকে পার্কে অন্য কুমির থেকে আলাদা একটি পুকুরে রাখা হয়েছে। পরে মিঠাপানির অন্য কুমিরের সঙ্গে রাখা হবে।