উপজেলার শ্যামপুর ঠাটারীপুর এলাকায় বুধবার রাতে এই ঘটনা ঘটে।
তবে কে বা কারা এ কাজ করেছে তা বলতে পারছেন না ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আনিসুল হক।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, বদরগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার দূরে শ্যামপুর ঠাটারীপুর গ্রাম। সেখানে কৃষক আনিসুল হকসহ কয়েকজনের কলাবাগান আছে। আনিসুল হক দেড় একর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে কলার চাষ করেছিলেন। এই দেড় একর জমির কলা প্রায় ১২০০ কলা গাছের কাঁদি কেটে নষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা।
আনিসুল হক বলেন, তিনি তার বাবার কাছ থেকে একর জমি ইজারা নিয়ে এক বছর আগে কলার বাগান করেন, যাতে এবার প্রথম কলা ধরছে। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত লোকজন নিয়ে কলা বাগানে কাজ করে তিনি বাড়ি যান।
“আজ সকালে একজন আমাকে ফোন করে জানান কে বা করা আমার কলা বাগানের সমস্ত কলার কাঁদি কেটে দিয়েছে। আমি এসে দেখি সব কলার কাঁদি মাটিতে।”
আর ১৫/২০ দিন পর কলা বাজারে তোলা যেত বলে জানান আনিস।
একই এলাকার শহিদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আনিসুল হক একজন সাদা মনের মানুষ। তার সাথে করো কোনো বিবাদ নাই। তার কলা বাগানের সম্স্ত কলার কাঁদি কেটে দিয়েছে।
কৃষক আনিস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে আরও বলেন, “আমার সাথে করো কোনো শত্রুতা নেই। আমি কোনো দল করি না। আমার জানামতে করো কোনো ক্ষতি করি নাই। কেন এ ক্ষতি করা হলো আমার জানা নাই।”
একই গ্রামের অহেদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আনিসুল হকের সাথে কারো কোন দ্বন্দ্ব নাই। সে তো একজন সাদা মনের মানুষ। দুর্বৃত্তরা তার জমির কলা বাগানের কলার কাঁদি কেটে ফেলেছে।
আনিসুল হকের প্রায় ১৫ থেকে ১২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তার ধারণা।
এ ব্যাপারে বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কলা বাগানের সমস্ত কলার কাঁদি কেটে দিয়েছে। সকালে খবর শুনেছি। আমার অফিসার তদন্ত করে এসেছে। তারা অভিযোগও দিয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
যারা এই ঘটনায় জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলেও তিনি জানান।