পাবনায় টিকা ছাড়া সুচ ঢোকানোয় ২ নার্স প্রত্যাহার

এক মেডিকেল শিক্ষার্থীকে টিকা ছাড়াই সুচ ঢোকানোর অভিযোগে পাবনা সদর হাসপাতালের দুই স্টাফ নার্সকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

পাবনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 August 2021, 10:22 AM
Updated : 5 August 2021, 01:01 PM

হাসপাতালের সহকারী পরিচালক কে এম আবু জাফর জানান, বুধবার বিকালের এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার তাদের প্রত্যাহার করা হয়। তবে ওই নার্সরা দাবি করেছেন, টিকা ছাড়া সুচ ঢোকানোর কোনো ঘটনা ঘটেনি।

মেডিকেল শিক্ষার্থীর বাবা আইনজীবী আব্দুল হান্নান বলেন, তার মেয়ে ঢাকার একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী।

“বুধবার হাসপাতালে কোভিড-১৯ টিকা নিতে যায় মেয়েটি। একজন নার্স সিরিঞ্জে টিকা না ভরেই সুচ পুশ করেন তার বাহুতে। বিষয়টি লক্ষ করে মেয়ে প্রতিবাদ করলে নার্স তাড়াহুড়ো করে সুচ বের করলে রক্তপাত হয়। পরে আরেকটি সিরিঞ্জ দিয়ে তার অন্য বাহুতে টিকা দেন নার্স।”

হান্নান বলেন, তার মেয়ে মেডিকেল শিক্ষার্থী বলেই বিষয়টি তাৎক্ষণিক বুঝতে পেরেছেন।

“এটি একটি গুরুতর অপরাধ ও কর্তব্যে অবহেলা। টিকা দেওয়া ও নেওয়ায় প্রত্যেকেরই সচেতন হওয়া উচিত। দায়িত্বরত নার্সরা কেন এমন করলেন তা আমি বুঝতে পারছি না।”

টিকা দেওয়ায় কর্তব্যরত নার্সদের অবহেলা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে।

“যদিও আমরা এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাইনি, এর পরও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের দলকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। তারা প্রতিবেদন দিলে এ ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

তাছাড়া টিকাকেন্দ্রে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে জেলার সিভিল সার্জন মনিসর চৌধুরী বলেন, জেলায় টিকা দিতে যারা কাজ করছেন তারা সবাই স্টাফ নার্স ও অভিজ্ঞ। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মীরাও প্রশিক্ষিত। এ ধরনের ভুল হবার কথা নয়।

“তবু আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।”

টিকাদান কার্যক্রম নিয়ে বিভ্রান্ত না হয়ে সবাইকে সহযোগিতার অনুরোধ করেন তিনি।

এর আগে মঙ্গলবার টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে সিরিঞ্জে টিকা ভরার পর বাহুতে সুচ ফুটিয়েও টিকা পুশ না করে ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

সে ঘটনায় তদন্ত কমিটি সেখানকার সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে। তাছাড়া ওই সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক নিজের অসুস্থতা এবং টিকা গ্রহণকারীদের চাপ বেশি থাকায় এমনটি করেছেন বলে লিখিতভাবে স্বীকার করেন।