সোমবার টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান জানিয়েছেন, সোমবার দুপুরে এ ঘটনার তদন্ত শেষে তার কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি।
তদন্ত কমিটি ওই সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে। এছাড়া ওই সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক নিজের অসুস্থতা এবং টিকা গ্রহণকারীদের চাপ বেশি থাকায় এমনটি করেছেন বলে লিখিতভাবে স্বীকার করেছেন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, “তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর সোমবার বিকেলেই ওই সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে।”
গত রোববার সকালে দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২ নম্বর বুথে টিকা দিচ্ছিলেন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক সাজেদা আফরিন।
এ সময় তিনি টিকা নিতে আসা লোকজনের শরীরে সুচ ফোটালেও টিকার ওষুধ না ঢুকিয়েই সিরিঞ্জ ফেলে দিচ্ছিলেন। টিকা দিতে আসা লাইনে অপেক্ষমান কয়েকজন ব্যাপারটা লক্ষ্য করে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার শামীম হোসেনকে জানান।
ওই আবাসিক মেডিকেল অফিসার ঘটনাস্থলেগিয়ে ঝুড়িতে থেকে পরিত্যক্ত সিরিঞ্জগুলো তুলে ঘটনার সত্যতা পান। তিনি সেখানে ২০টি সিরিঞ্জের ভেতর টিকার ওষুধ দেখতে পান। বিষয়টি তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে অবহিত করেন।
এ অভিযোগপাওয়ার পরপরই টাঙ্গাইলের ডেপুটি সিভিল সার্জন মো. শামীম হুসাইন চৌধুরীকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন সিভিল সার্জন।