সড়কটিতে প্রায় প্রতিদিনই ছোট-বড় দুঘর্টনা ঘটছে। গাড়ি চালাতে গেলে গাড়ির ক্ষতির সঙ্গে সঙ্গে দুর্ঘটনায় পড়তে হয় বলে স্থানীয়দের ভাষ্য।
ফরিদপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, এডিবির অর্থায়নে জেলার মধুখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে নিমতলা পর্যন্ত সড়কটি ৮ দশমিক ১০ কিলোমিটার প্রশস্তকরণ ও সংস্কারের জন্য কার্যাদেশ দেওয়া হয় দুবছর আগের [২০১৯ সাল] অগাস্টে। কাজ শেষ হওয়া মেয়াদ থাকে ২০২১ সালের জুলাই মাস।
সরেজমিনে দেখা যায়, মধুখালী-নিমতলা সড়কের ৮ কিলোমিটর অংশের অধিকাংশই খানা-খন্দে ভরে গেছে; কোথাও এক থেকে দেড় ফুট গর্ত। সড়কের প্রশস্তকরণে দুই পাশে খাদ হয়ে রয়েছে।
এক বছর ধরে এই সড়ক চলাচল অনুপযোগী রয়েছে বলে এলাকাবাসীর ভাষ্য। চরম ভোগান্তিতে রয়েছে এই সড়কে চলাচলকারী লক্ষাধিক মানুষ।
মধুখালী উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “২০১৯ সালের টেন্ডার ২০২১ সালেও শেষ হলো না, এখন তো সড়কটি মানুষের চলাচলের মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
তিনি দ্রুত রিটেন্ডারের মাধ্যমে সড়কটি মেরামত করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে দাবি জানান।
স্থানীয় অটোরিকশা চালক সেলিম মোল্লা বলেন, “এ রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালানোর মতো অবস্থা নেই। চললে গাড়িরও ক্ষতি হয়; দুর্ঘটনায় পড়তে হয়।”
এই বিষয়ে গাজনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বলেন, “মধুখালী-নিমতলার সড়কটি সংস্কার ও প্রশস্তকরণের নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেল; এখনও কাজের ৭০ শতাংশ বাকি হয়েছে।”
“কেন রিটেন্ডার হচ্ছে না? কেন এভাবে এ অঞ্চলের মানুষকে কষ্ট দেওয়া হচ্ছে?”
ফরিদপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রকৌশলী পিন্টু সাহা বলেন, “কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাদের শর্ত ভঙ্গ করায় তাদের কার্যাদেশ বাতিল করা হয়েছে। আমরা ওই সড়কে পরবর্তী অংশ নিরীক্ষণ করে পুনরায় রিটেন্ডার দেওয়ার কাজ করছি; দ্রুত নতুন কার্যাদেশ দেওয়া হবে।”