সোমবার বিকেলে ঢাকা থেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালিক নব-নির্মিত ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরুর আগেই বহির্বিভাগে চিকিৎসাসেবা উদ্বোধন করেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক স্বপন বলেন, “শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আউটডোরের পাশাপাশি ইনডোরে করোনা রোগী চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।”
জাতীয় নেতা শহীদ এম মনসুর আলীর সন্তান প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমকে স্মরণ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “মোহাম্মদ নাসিম শুধু জাতীয় নেতা ছিলেন না, তিনি আমার বড় ভাইয়ের মতো ছিলেন। আমাদের অনেক কিছু শিখিয়েছেন।
এখন থেকে ‘প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত’ হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে।
অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সচিবালয় প্রান্ত থেকে কথা বলেন সিনিয়র সচিব (স্বাস্থ্যসেবা) লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, অতিরিক্ত সচিব সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খোরশেদ আলম।
সিরাজগঞ্জ প্রান্তে কথা বলেন, জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কে এম হোসেন আলী হাসান, চেম্বারের সভাপতি আবু ইউসুফ সূর্য, শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আমিরুল হোসেন চৌধুরী এবং সঞ্চালনায় ছিলেন লাইন ডাইরেক্টর ডা. সামিউল ইসলাম।
২০১৫ সালে ৮৮২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩০ দশমিক ৯০ একর জমির উপর শহরের পাশেই শিয়ালকোল এলাকায় শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ এবং ৫শ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ শুরু হয়। আগামী ডিসেম্বরে হাসপাতালটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হওয়ার কথা রয়েছে।