রাজশাহী মেডিকেলে প্যাথলজিক্যাল সেবা চালু, কোভিডে মৃত্যু আরও ৭

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাতে কোভিড রোগীদের সব পরীক্ষা করা যায় সেজন্য পৃথক চারটি প্যাথলজিক্যাল সেবা চালু করা হয়েছে।

ময়মনসিংহ প্রতিনিধিরাজশাহী ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 August 2021, 05:22 AM
Updated : 2 August 2021, 05:22 AM

এদিকে এক দিনে হাসপাতালটিতে আরও সাত কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে; একই সময় উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও আটজন।

সোমবার সকাল ৬টা পর্য গত ২৪ ঘণ্টায় তারা মারা যান বলে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান।

গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে নতুন আরও ৩৭ জন রোগী ভর্তি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, একই সময় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৫৯ জন। সোমবার সকাল ৬টায় ৫১৩ বেডের বিপরীতে ছিলেন ৩৯৯ জন। তাদের মধ্যে আইসিইউতে আছেন ২০ জন। তাদের মধ্যে ১৭৪ জনের পজেটিভ। উপসর্গ নিয়ে আছেন ১৪৬ জন। তাছাড়া কোভিডমুক্ত হয়ে পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলাতায় চিকিৎসাধীন আছেন ৭০ জন।

পরিচালক বলেন, রোববার তাদের দুটি ল্যাবে রাজশাহী জেলার ৩৬৮ জনের পরীক্ষায় ২৭ দশমিক ১৭ শতাংশ কোভিড শনাক্ত হয়েছে; যা আগের দিনের চেয়ে ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ কম। আগের দিন শনিবার ছিল ৩২ দশমিক ৭১ শতাংশ। শুক্রবার ছিল ২৪ দশমিক ৩২ শতাংশ, গত বৃহস্পতিবার ২২ দশমিক ৮৮ শতাংশ, বুধবার ছিল ২৮ দশমিক ৯০ শতাংশ, মঙ্গলবার ছিল ২২ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

প্যাথলজিক্যাল সেবা চালু

এখন থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সব পরীক্ষা হাসপাতালেই করা হবে বলে জানিয়েছেন শামীম ইয়াজদানী।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, হাসপাতালে পৃথক চারটি প্যাথলজিক্যাল সেবা চালু করা হয়েছে। এখন থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কোভিড রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আর বাইরে যেতে হবে না।

শামীম ইয়াজদানী বলেন, ডি-ডাইমার, ডি-হাইড্রোজেনেস, সিআরপি, সিরাম ফেরিটিন পরীক্ষাগুলো হাসপাতালেই হবে। এই পরীক্ষাগুলো বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে করতে অনেক টাকা লাগে। তাই হাসপাতালের রোগীদের জন্য হাসপাতালেই এই সেবা চালু করা হয়েছে।

পরিচালক বলেন, সরকার নির্ধারিত ৬০০ টাকায় ডি-ডাইমার, ২৫০ টাকায় সিরাম ফেরিটিন এবং ১৫০ টাকায় ডি-হাইড্রোজেনেস ও সিআরপি পরীক্ষা করা যাবে। পাশাপাশি আইসিইউ-এর রোগীদের আরও তিনটি পরীক্ষা একসঙ্গে ৬০০ টাকায় করা হবে। ইসিজির ব্যবস্থা আগে থেকেই ছিল। এর সঙ্গে এখন ট্রপোনিন আইও টেস্ট করা যাবে ৫০০ টাকায়। হাসপাতালের বাইরে এই পরীক্ষাগুলো করাতে গুনতে হত চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা।

তিনি বলেন, কোভিড রোগীদের এই পরীক্ষাগুলো একাধিকবার করতে হয়। ফলে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যয় বহন করতে না পেরে এর আগে অনেক রোগী পরোপুরি সুস্থ হওয়ার আগেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ছেড়ে চলে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

হাসপাতালে প্যাথলজি টেকনিশিয়ান কম থাকায় আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে লোক নেওয়ার কথা জানান শামীম ইয়াজদানী।

তিনি বলেন, বর্তমানে মোট ১১ জন টেকনিশিয়ানের মধ্যে ব্লাড ব্যাংকে পাঁচজন ও অন্য ছয়জন প্যাথলজিতে কাজ করেন।

“ছয়জন লোক নিয়ে কিভাবে ২৪ ঘণ্টা প্যাথলজি চালাব? এ জন্য আমরা পরিকল্পনা করেছি, আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কিছু লোক নেব। এজন্য হালকা কিছু সার্ভিস চার্জ নেওয়া হবে। এটা যদি করতে পারি, তাহলে চিকিৎসাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন হয়ে যাবে।”