হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুর রহমান জানান, গত ১ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত তাদের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ১৫১ জন আক্রান্ত ছিলেন আর ১৭২ জনের উপসর্গ ছিল।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত চারজন এবং উপসর্গ নিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান পনিচালক।
মৃতদর মধ্যে ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মাদারিপুর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদ ও মাগুরা জেলার রয়েছেন।
সাইফুর বলেন, “জেলার বাইরে থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বা উপসর্গ নিয়ে যে রোগী গুলো আসে তাদের শারীরিক অবস্থা বেশি ভাল থাকে না। এছাড়া গ্রামের মানুষ গুলোর সচেতনতা অনেক কম। এই কারণে মৃত্যুর হার বেশি। সঠিক সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে অনেক জীবন বাঁচত।”
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ফরিদপুরে নতুন করে ৫০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে বলে সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দীকুর রহমান জানান।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত জেলায় করোনাভাইরাসে ১৭ হাজার ৭১৪ ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজার ৭১৭ জন। আর জেলায় এ পর্যন্তু মোট মৃত্যু হয়েছে ৩৯০ জনের।
ফরিদপুর সদর উপজেলাতেই এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মারা গেছেন ২৮৪ জন। আর আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৯৯৩ জন।
এই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম রেজা বলেন, “সরকারি নির্দেশনা মতে কোভিড শনাক্তের হার কমিয়ে আনতে ইউনিয়ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যক্তিদের সমপৃক্ত করে সচেতনতা মূলক কাজ শুরু করেছি।
“শহরের তুলনায় গ্রামে মানুষের মধ্যে করোনার ভয়াবহতা বিষয়ে সচেতন কম আর এই কারণেই শনাক্ত বা মৃত্যের হার সেখানে বেশি। তবে সকলের চেষ্টা আমরা বর্তমান সময়ে অনেকটা সফলতার দিকে যাচ্ছি। এখন গ্রামের অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে।“