শনিবার চিলমারীর এ ঘাটে স্বাস্থ্যবিধি ভেঙে গাদাগাদি করে বালুর ড্রেজারেও যাত্রী বোঝাই করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
সরেজমিন রমনা ঘাটে দেখা গেছে, কয়েক হাজার মানুষ নৌকা এবং বালুর ড্রেজারে উঠতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। হুড়োহুড়িতে অনেকে নদীতে পড়েও গেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মানুষের চাপে দু’টি নৌকা ভেঙে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
রমনাঘাটে সাজেদুল, মমিনুল, সাহেদ জানান, লকডাউন বাস চলাচল বন্ধ তাই নৌকা দিয়ে পার হয়ে রাজিবপুর হয়ে ঢাকা যাবেন তারা।
অনেকের অভিযোগ, শিল্পকারখানা খুলে দিলেও বাস চলাচল স্বাভাবিক করা হচ্ছে না।
বালুর ড্রেজারে যাত্রী হয়ে রাজিবপুর যাচ্ছেন শহিদুল, আকবরের অভিযোগ অতিরিক্ত যাত্রী নিয়েও অনেক বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।
ঘাটে টাকা উত্তোলনের দায়িত্বরতরা ভাড়া আদায়ের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুর রহমান বলেন, “দ্বিগুণ ভাড়া আদায়ে সুযোগ নেই। কেউ আদায় করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা বলেন, ঘাটে টোল চাট না থাকায় ভাড়া নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। অতিরিক্ত যাত্রী যেন ওঠানো না হয় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে যাত্রীদের ঢল নামায় স্বাস্থ্য বিধি মানার ব্যাপারে ইউএনওদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম।