এমনকি ভিড়ের মধ্যে গাড়ি ওঠারও সুযোগ পাচ্ছে না। শনিবার সকাল থেকে ভোলার ইলিশা ঘাটে দেখা গেছে এমনই ভিড়।
ঘাটের তত্ত্বাবধায়ক পারভেজ খান বলেন, “ঘাটে ফেরি আসলেই যাত্রীরা হুড়মুড় করে উঠে পড়ছে। যাত্রীদের চাপে যানবাহনও নেওয়া যাচ্ছে না।”
বর্তমানে ইলিশা-লক্ষ্মীপুর নৌপথে তিনটি ফেরি চলাচল করছে জানিয়ে তিনি বলেন, “চেষ্টা করেও আমরা স্বাস্থ্যবিধি মানাতে পারছি না। আমাদের কিছু করার নেই।”
ভোর থেকে ইলিশা ঘাটে কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ ও ইলিশা পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা ব্যর্থ হন।
ইলিশা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক আনিসুর রহমানও বলেন, “লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে আমরা শতভাগ চেষ্টা করেছি। কিন্তু যাত্রীদের চাপে সম্ভব হয়নি।”
ফেরির যাত্রীরা জানিয়েছেন, তারা ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কর্মস্থলে যোগ দিতে যাচ্ছেন। তাদের অধিকাংশই পোশাকসহ বিভিন্ন কারখানায় কাজ করেন। তারা সাধারণত লঞ্চে যাতায়াত করেন। এখন লকডাউনে লঞ্চ বন্ধ থাকায় লক্ষ্মীপুর হয়ে সড়ক পথে যেকোনোভাবে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।