ঝিনাইদহ ট্রাফিট ইন্সপেক্টর সালাহউদ্দিন জানান, শনিবার সকাল থেকে শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও ঢাকা-ঝিনাইদহ মহাসড়কে ঢাকামুখো লোকজন আসতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় আরও বাড়ছে।
তিনি বলেন, লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় লোকজন ইজিবাইক ও রিকশাভ্যানে করে শহরের বাস টার্মিনালে জড়ো হচ্ছেন। সেখান থেকে আবার ইজিবাইক, মাহেন্দ্রসহ ছোট ছোট যানে ঢাকায় ফিরতে হচ্ছে তাদের।
এদিকে যাত্রীদের অভিযোগ, গণপরিবহণ না থাকার সুযোগে ছোট গাড়িগুলো ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করছে। সাধারণ সময়ের চেয়ে এখন কয়েকগুন বেশি ভাড়া হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
যশোর থেকে ঢাকাগামী রাশেদুল ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন, “কালকে থেকে অফিস খোলা; অফিস তো যেতেই হবে। সেই কারণে বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে অনেক কষ্ট করে করে সিএনজি অটোরিকশায় করে ঢাকায় যাচ্ছি। ফ্যাক্টারি খুলেছে ঠিক আছে, তবে গাড়িগুলো যদি খুলে দিত তাহলে আমাদের ভোগান্তি হত না।”
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থেকে আসা নাজমুল হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, “সরকার জনগণের কথা যদি ভাবতো তাহলে গণরিবহন চালু করত। এভাবে গাড়ি বন্ধ করে গার্মেন্টস খুলে দেওয়া কোন ভাবেই উচিত হয়নি। মানুষকে এভাবে ভোগান্তি দেওয়া ঠিক না।”