বোয়ালমারীর ইউএনও ঝোটন চন্দ বলেন, “খবর পাওয়ার পরে তার পরিবারের খোঁজখবর নিয়েছে প্রশাসন। পরিবারটি হতদরিদ্র। ভাল চিকিৎসার ব্যবস্থা করার মত অবস্থা তাদের নেই।
“সেই ব্যক্তির বাড়ি গিয়ে তার বাবার হাতে চিকিৎসা বাবদ প্রাথমিকভাবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে পাঁচ হাজার টাকা এবং খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। দরিদ্র এই পরিবারের জন্য আমরা চেষ্টা করছি উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা করতে।”
উপজেলার ময়না ইউনিয়নের পশ্চিম চরবর্ণি গ্রামের ৩৫ বছরের এই ব্যক্তির পরিবার জানিয়েছে, ছয়-সাত বছর আগে একবার জ্বর হয় তার। পরে তিনি অসুস্থ হয়ে যান। আস্তে আস্তে তার হাত-পা শুকিয়ে যেতে থাকে। পরিবার সাধ্যমত ডাক্তার-কবিরাজ দেখায়। তবু সুস্থ হয়নি। ছেড়ে দিলে এখানে-ওখানে চলে যায়। হারিয়ে যেতে পারে বলে তাকে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়।
যে ঘরে শেকলবন্দি করে রাখা হয়েছিল সেই ঘরের মাটির মেঝে হাত দিয়ে খুঁড়ে খুঁড়ে সেই ব্যক্তি একটা গর্ত করে নিয়েছেন। সেখানেই থাকেন তিনি।
এ বিষয়ে শুক্রবার প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
এর আগে বোয়ালমারী পৌরসভার ছোলনা গ্রামের তরুণ সমাজ সেবক মো. হেদায়েতুর রাফি সুমন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে একটি লেখা পোস্ট করেন।