রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টার মধ্যে কোভিড ইউনিটে এই ১৩ জনের মৃত্যু হয়।
এ নিয়ে জুলাই মাসে (১ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত) এ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে মৃতের সংখ্যা ৫৬৬ জনে দাঁড়াল। এর মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর মৃত্যু হয়েছে ১৮৪ জনের।
আর শ্বাসকষ্টসহ করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়ার পর নমুনা পরীক্ষার আগেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ৩৪৪ জন। বাকি ৩৮ জন মারা গেছে কোভিড পরবর্তী স্বাস্থ্য জটিলতা নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায়।
শামীম বলেন, এর আগে গত জুন মাসে এ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে মারা যান ৪০৫ জন। এর মধ্যে করোনাভাইরাস পজেটিভ হওয়ার পর মারা গেছে ১৮৯ জন। বাকিরা মারা যায় উপসর্গ নিয়ে নমুনা পরীক্ষার আগেই।
এছাড়াও চলতি বছরের জানুয়ারিতে ২৯ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৭, মার্চে ৩১, এপ্রিলে ৭৯ ও মে মাসে ১২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অপরদিকে ২০২০ সালে করোনাভাইরাসে সর্বোচ্চ মৃত্যু ছিল জুলাই মাসে ১১১ জন। এছাড়াও গত বছরের মে মাসে পাঁচজন, জুন মাসে ৩৭ জন, অগাস্টে ৯৭ জন, সেপ্টেম্বরে ৫০ জন, অক্টোবরে ২৮ জন, নভেম্বরে ৩১ জন ও ডিসেম্বরে ৩৪ জন মারা যায়।
পরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর তিনজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন, নাটোরের একজন, নওগাঁর তিনজন ও পাবনার পাঁচজন। এদের মধ্যে সাতজন পুরুষ এবং ছয়জন নারী। মৃতদের মধ্যে চারজনের বয়স ৬১ বছরের ওপরে।
বাকিদের মধ্যে ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে দুইজন ও ১১ থেকে ২০ বছর বয়সের মধ্যে একজন।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড ইউনিটে নতুন রোগি ভর্তি হয়েছেন ৪৮ জন। একই সময় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩২ জন। শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত কোভিড ইউনিটের ৫১৩ বেডের বিপরীতে ভর্তি আছে ৪৩৩ জন। এদের মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ১৯ জন।
শামীম বলেন, শুক্রবার দুইটি ল্যাবে রাজশাহী জেলার ২৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭২ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। যার শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ৩২ শতাংশ। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার ছিল ২২ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
এছাড়া গত বুধবার শনাক্তের হার ছিল ২৮ দশমিক ৯০ শতাংশ, গত মঙ্গলবার ছিল ২২ দশমিক ৭৬ শতাংশ, গত সোমবার ২২ দশমিক ৫১ শতাংশ, গত রোববার ৩০ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং গত শনিবার ছিল ৪৫ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।