উপজেলার ময়না ইউনিয়নের পশ্চিম চরবর্ণি গ্রামের ৩৫ বছরের এই ব্যক্তির পরিবার জানিয়েছে, ছয়-সাত বছর আগে একবার জ্বর হয়। পরে তিনি অসুস্থ হয়ে যান।
তার মা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বলেন, “জ্বর হওয়ার পর আস্তে আস্তে তার হাত-পা শুকিয়ে যেতে থাকে। আমরা সাধ্যমত ডাক্তার-কবিরাজ দেখাই। তবু ছেলে সুস্থ বা স্বাভাবিক হয়নি। এখন শীত-গরম কোনো অনুভূতি নেই তার শরীরে।
“ছেড়ে দিলে চলে যায় বলে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়।”
মাটির গর্তে থাকার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, তাকে যে ঘরে শেকলবন্দি করে রাখা হয়েছে সেই ঘরের মাটির মেঝে হাত দিয়ে খুঁড়ে খুঁড়ে তার ছেলে নিজেই তৈরি করে নিয়েছেন এই গর্ত।
ইউপি চেয়ারম্যান নাছির মো. সেলিম এই ব্যক্তির পরিবার সম্পর্কে অবগত রয়েছেন।
তিনি বলেন, “ছেড়ে দিলে দূরে চলে যায়। এ কারণে পরিবার বাধ্য হয়ে বেঁধে রেখেছে তাকে। তবে এভাবে বেঁধে রাখা ঠিক হয়নি।”
বোয়ালমারীর ইউএনও ঝোটন চন্দও এ সম্পর্কে অবগত হয়েছেন।
তিনি বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় আসার পর আমাদের নজরে এসেছে। আমরা তার পরিবারের খোঁজখবর নিয়ে চিকিৎসার জন্য সহায়তা করব।
“তবে মাটির গর্তে বেঁধে রাখা ঠিক হয়নি। তার ওপর অন্যায় করা হয়েছে।”
পরিবারের সদস্যরা জানান, রবিউলের বাবা ভ্যান চালিয়ে সংসার চালান। ছেলের জন্য উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করার সামর্থ্য নেই তার।
সরকারি উদ্যোগে রবিউলের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন পরিবার ও এলাকাবাসী।