বৃহস্পতিবার দুপুরে নতুন সেতুটি পরিদর্শনে এসে নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের পশ্চিম শাখার যুগ্ম পরিচালক আশরাফ হোসেন পরিদর্শনে বলেন, “সেতুটি নির্মাণে আমাদের গেজেট মানা হয়নি। যে কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সেতুটি নির্মাণে বিআইডব্লিউটিএ’র অনুমোদন নেওয়া হয়নি। নির্মাণাধীন সেতুটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কোনো গেজেটও মানা হয়নি।
এশিয়ান হাইওয়ে হিসেবে প্রস্তাবিত এ মহাসড়কে ঝিকরগাছায় কপোতাক্ষ নদের উপর ৬০ বছরের পুরনো ব্রিজ ভেঙে ফেলে নতুন দুইটি সেতু নির্মাণের কাজ চলছে। প্রথম সেতুটির উচ্চতা নিয়ে এলাকাবাসীর সন্দেহের ভিত্তিতে গত বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে খবর হয়।
পরদিনই আশরাফ হোসেন সেতুটি পরিদর্শনে আসেন। এ সময় তিনি নদের পানি থেকে সেতুর উচ্চতা মেপে দেখেন।
যেখানে সর্বনিম্ন উচ্চতা থাকার কথা ২০ ফুট, সেখানে আছে ১৫ ফুট পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানাবেন।
নতুন সেতু দুটি নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। জাইকার অর্থায়নে দেড়শ কোটি টাকা ব্যয়ে এ সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে।
আশরাফ হোসেন পরিদর্শনকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের ডেপুটি প্রকল্প ম্যানেজার সৈয়দ গিয়াস উদ্দিন, ডিআরই কন্স্যালটেন্ট আহম্মদ আলী, ঝিকরগাছা থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক, স্থানীয় সেবা সংগঠনের পরিচালক মাস্টার আশরাফুজ্জামান বাবু, স্থানীয় কপোতাক্ষ বাঁচাও আন্দোলন কমিটির নেতা আব্দুর রহিম।