সদরসহ জেলার পাঁচটি উপজেলায় কয়েকশ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে; তলিয়ে গেছে বহু মাছের ঘের। বাড়িঘরে বৃষ্টির পানি ওঠায় রান্নাবান্নার অসুবিধাসহ নানা ভোগান্তিতে পড়েছেন বাসিন্দারা।
বাগেরহাট পৌরসভার নাগেরবাজার ও পূর্ব বাসাবাটি এলাকায় খাল ‘বেদখল’ ও ‘সরু’ হয়ে যাওয়ার কারণে পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা না থাকায় শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ।
এছাড়া শহরের বাইরের প্লাবিত এলাকার মধ্যে রয়েছে শরণখোলা, মোংলা, মোরেলগঞ্জ ও রামপাল উপজেলার নিম্নাঞ্চল।
বাগেরহাট পৌরসভার নাগেরবাজার ও পূর্ব বাসাবাটি এলাকার মাসুম হাওলাদার, সোহেল হাওলাদারসহ একাধিক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, বৃষ্টি হলেই এই এলাকার ঘরবাড়িতে পানি জমে যায়। এই এলাকার একটি রেকর্ডীয় খাল দীর্ঘদিন সংষ্কার না হওয়ায় প্রভাবশালীরা দখল করে রেখেছে। এই খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়। পানি ঘরে উঠে যাওয়ায় দারুণ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। চুলায় পানি উঠে যাওয়ায় রান্না খাওয়া করা যাচ্ছে না।
অবিলম্বে খালটি দখলমুক্ত করে সংষ্কারের দাবি জানান তারা।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক সফিকুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে অনেক দেরিতে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় এই জেলার প্রধান চারটি নদনদীর পানিতে মাত্রাতিরিক্ত লবণাক্ততা বৃদ্ধি পায়, যার কারণে ফসলি জমিতে এই পানি ব্যবহার অনুপোযোগী হয়ে পড়ে।
টানা বৃষ্টিতে নদনদীর পানিতে লবণাক্ততা অনেকটাই কমে যাওয়ায় তা ফসলের মাঠে ব্যবহার উপযোগী হবে বলে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।
যেসব এলাকার মানুষ বেশি সমস্যায় পড়েছে তাদের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম রাসেল বলেন, টানা বৃষ্টির পানিতে জেলার উপকূলীয় মোংলা, মোরেলগঞ্জ, রামপাল, শরণখোলা ও সদর উপজেলার নিচু এলাকার দুই সহস্রাধিক মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। ঘের মালিকরা তাদের ঘেরে নেট দিয়ে মাছ রক্ষার চেষ্টা করছেন।