বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
এদিকে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সাঙ্গু এবং মাতামুহুরী নদীর পানি ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে জেলা শহরে পৌর এলাকা, আলীকদম সদর এবং লামা পৌর এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েকশ’ পরিবার। এছাড়া নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, উপজেলা পরিষদ ভবন, থানা ভবন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, প্রাণী সম্পদ অফিস, সমাজসেবা কার্যালয় এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ গুরুত্বপূর্ণ সব অফিসগুলোর নিচতলা পর্যন্ত পানি উঠেছে।
“পানি উঠে এলাকার এখন সিরিয়াস অবস্থা। পৌর এলাকা প্রায় ৩শ’ পরিবার পানিবন্দী হয়ে কোথাও বের হতে পারছে না।
জনপ্রতিনিধিদের বরাত দিয়ে রেজা রশীদ আরও জানান, অনেক জায়গায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। জনপ্রতিনিধিরা বাড়িঘর ক্ষয়ক্ষতির কথা জানিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। উপজেলার অভ্যন্তরীণ গ্রামীণ সড়কে ক্ষতি হলেও মূল সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়নি।
পাহাড়ের পাদদেশে থাকা ঝুঁকিপূর্ণ পরিবার এবং পানিবন্দী মানুষদের জন্য পৌর এলাকার সবকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জানান তিনি।
বালাঘাটার এলাকার বাসিন্দা কামরুন নাহার এবং আল আমিন জানান, ঘরে পানি উঠে অনেক জিনিস নষ্ট হয়েছে। হালকা কিছু মালামাল বের করতে পেরেছেন তারা। ঘরে পানি ওঠায় বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে শিশু ও বয়স্করা।
এদিকে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে কোনো ধরণের দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
“উপজেলা পর্যায়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যে ৪শটি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। তাদের জন্য খাবার এবং সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া নিরাপত্তার জন্য পুলিশ বিভাগকে দেখভাল করতে বলা হয়েছে।”
তবে আর ভারী বৃষ্টি না হলে দুয়েক দিনের মধ্যে পরিস্থিতি ভালো হওয়ার আশা দেখছেন তিনি।
তবে দুই বছর আগে ২০০ মিলিমিটারেও বেশি পরিমাণ বৃষ্টিপাত রেকর্ড রয়েছে বলে জানান তিনি।