কপোতাক্ষ নদে নতুন সেতু নিয়ে ক্ষোভ

যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে কপোতাক্ষ নদের উপর নবনির্মিত সেতুর উচ্চতা নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

বৃষ্টিতে নদের পানি বেড়ে গিয়ে এ সেতুর তলদেশ ছুঁয়ে যাচ্ছে। তাতে নদীতে কোনো নৌযান চলাচল করতে না পারার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

স্থলবন্দর বেনাপোলে যাওয়ার পথে ঝিকরগাছায় কপোতাক্ষ নদের উপর সেতু পার হতে হয়। আগের ৬০ বছরের পুরনো সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সেটি ভেঙে নতুন দুটি ব্রিজ নির্মাণ করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। দেড়শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে জাইকার অর্থায়নে এর একটি সেতুর নির্মাণ সমপন্ন হয়েছে এবং অন্যটির কাজ শিগগির শুরু হবে। আর এরই মধ্যে সেতুর উচ্চতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

ঝিকরগাছা উপজেলার মুদ্রণ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, “নতুন ব্রিজ অনেক নিচু করে নির্মাণ করা হয়েছে। এ ব্রিজের কারণে কপোতাক্ষ নদ আরও মরে গেল।”

ঝিকরগাছা মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ ইলিয়াস উদ্দীন বলেন, “পুরাতন সেতুর নিচ দিয়ে নৌকা, জাহাজ চলাচল করতে পারলেও নতুন ব্রিজটির নিচ দিয়ে একটি ডুঙ্গাও যেতে পারবে না।”

‘নদকে মেরে ফেলতে নতুন সেতুই যথেষ্ট’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ঝিকরগাছা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইমরান রশীদ এবং কপোতাক্ষ বাঁচাও আন্দোলনের প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবীর জাহিদের দাবি, ‘ব্রিজের নকশা ঠিক হয়নি’।

তবে, সড়ক ও জনপথ বিভাগের সেতু প্রকল্প ব্যবস্থাপক আশরাফুজ্জামান জানান, ১২০ মিটার লম্বা এবং ১৫ মিটার চওড়া এই সেতু পুরাতন সেতুর চেয়ে দেড় মিটার উঁচু করা হয়েছে।

অন্যদিকে, উপজেলা প্রকৌশলী শ্যামল কুমার বসু বলছেন, বন্যা বা প্রবল বর্ষায় ব্রিজের নিচ দিয়ে কোনো কিছু চলাচল করতে পারবে না।

যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ আসছে। আমরা খতিয়ে দেখছি ভুল নকশায় ব্রিজটি করা হয়েছে কিনা।”

শিগগিরই কপোতাক্ষ খনন কাজ শুরু করা হবে। ভুলভাবে ব্রিজটি করা হলে সবার ক্ষতির শঙ্কা করছেন তিনি।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের সেতু প্রকল্পের ব্যবস্থাপক আশরাফুজ্জামান জানান, বিশেজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী ব্রিজ দুটির নকশা করা হয়েছে। পুরাতন ব্রিজের মাপে এটি করা হচ্ছে।

তিনি স্বীকার করেন, পানি সেতুর গার্ডারে লেগে গেলে নদী খনন করতে হবে। তানা হলে নিচ দিয়ে নৌযান চলতে পারবে না।