মঙ্গলবার পাবনা জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোহেল ফকির ও নাসিম হোসেন নামের এই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার দুপুরে রংপুর মহানগর ডিবি পুলিশ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন।
এই ঘটনায় আগে গ্রেপ্তার ছয় ট্রাক চালক এবং সহকারীও এই প্রতারক চক্রের শিকার বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে গাড়ি ভাড়া করে ‘অভিনব কৌশলে’ গাড়ি চালকদের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিল বলে মারুফ জানান।
গ্রেপ্তারদের বরাত দিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গত ২৩ জুলাই দিনাজপুর ট্রাক ট্যাংকলরি কভার্ডভ্যান ও ট্যাক্টর শ্রমিক ইউনিয়নেরর মনজুরুল আলমকে ফোনে আসামি সোহেল ফকির নিজেকে ডা. রেজাউল করিম পরিচয় দিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অক্সিজেনের খালি সিলিন্ডার ঢাকায় পৌঁছিয়ে সেখান থেকে অক্সিজেন ভরতি সিলিন্ডার আনার কথা বলেন। ট্রাক প্রতি ৪০ হাজার টাকা করে তিনটি ট্রাক ভাড়া করেন তিনি।
“এক পর্যায়ে প্রতারক সোহেল ফকির বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল ফ্রি করে দেওয়ার কথা বলে তিনটি ট্রাকের জন্য ট্রাক চালকদের কাছ থেকে ৩০০০ টাকা একটি বিকাশ নম্বরে দেওয়ার জন্য বললে তিন চালক সেই বিকাশ নম্বরে ৩০০০ টাকা পাঠিয়ে দেয়।”
বিকাশে টাকা পাওয়া মাত্র প্রতারক তার মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়।
তিনি আরও বলেন, প্রতারকরা ইউটিউব, ফেইসবুক কিংবা বিভিন্ন গাড়ির পিছনে থাকা মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে ট্রাক ভাড়া প্রদানকারী দালালের সঙ্গে কথা বলে প্রতারণার ক্ষেত্র তৈরি করে এবং ৩-৫ হাজার টাকা নিয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়।
এই প্রতারক চক্র গত ২/৩ বছর যাবত সারা দেশে একই কায়দায় অসংখ্য প্রতারণা করেছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে গ্রেপ্তাররা, বলে মারুফ।
টাকার পরিমাণ কম হওয়ায় অনেকেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করে এড়িয়ে যায় বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি জানান, এই ঘটনায় পুলিশ তিন ট্রাক চালক ও তিনটি ট্রাক চালকের সহযোগীকে আটক করে এবং তিনটি ট্রাক জব্দ করে। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মহানগরের কোতোয়ালি থানায় মামলা করলে তাদের ছয় জনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।