রংপুরে ‘দলবেঁধে ধর্ষণের পর এক নারীকে হত্যা’

রংপুরে এক নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণের পর হত্যার কথা আদালতে স্বীকার করেছে এক আসামি।

রংপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 July 2021, 02:38 PM
Updated : 27 July 2021, 02:38 PM

মঙ্গলবার দুপুরে বদরগঞ্জ আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।

জবানবন্দি দাতা তহিদার রহমানকে (৩২) গত সোমবার রাতে উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়ন থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি ওই এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।

নিহত আয়মনা বেগম (৩০) একই এলাকার আবেদ আলীর মেয়ে।

জবানবন্দি অনুযায়ী ঘটনার বিবরণে বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান জানান, দুই সন্তানের জননী আয়মনার সঙ্গে তার স্বামী রাশেদুলের প্রায় দুই বছর আগে ছাড়াছাড়ি হয়। এরপর নানীর বাড়ি এলাকার পূর্ব পরিচিত তহিদার রহমান তার সখ্য হয়ে ওঠে।

এ সম্পর্কের জেরে গত শনিবার রাতে তহিদার মোবাইলে ফোন করে আয়মনাকে তার নানী বাড়ি থেকে বাইরে ডেকে আনেন। সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে ছিলেন তহিদারের অপর দুই বন্ধু।

এক পর্যায়ে আয়মনাকে জোর করে দলবেঁধে ধর্ষণ করেন তারা। ধর্ষণের বিষয়টি সালিশ করে প্রকাশ করার হুমকি দিলে আয়মনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তারা। বাড়ির পাশে নির্জন বাঁশ ঝাড়ে নিয়ে শ্বাসরোধ করে আয়মনাকে হত্যা করা হয়।

পরে বাঁশঝাড়ের ভেতর এক সজনে গাছের ডালে গলায় রশি বেঁধে লাশ ঝুলিয়ে দেয়। তবে রশি ছিঁড়ে মরদেহটি মাটিতে পড়ে যায়।

এ খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় আয়মনার ভাই জাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে বদরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।

পুলিশ তদন্ত করে এ ঘটনায় তিনজনের জড়িত থাকার কথা জানতে পারার পর তহিদার রহমানকে গ্রেপ্তার করে।

ওসি আরও বলেন, “নিহত আয়মনার পূর্ব পরিচিত ছিল গ্রেপ্তার তহিদার রহমান। মূলত তার দুই বন্ধু মিলে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে বলে সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।”

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অপর দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে ।