জেলার লালমাই থানার ওসিমোহাম্মদ আইয়ুব জানান, বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামের একটি ঘর থেকে তারা তাদের লাশ উদ্ধার করেন।
নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের মুদিদোকানি হায়াতুন্নবী শরিফ ওরফে শরিফুল ইসলাম (২৬) ও তার দোকানের কর্মচারী ফয়েজ আহমেদ (২৭)।
শরিফ ওই গ্রামের হাসানুজ্জামানের ছেলে। আর ফয়েজ একই গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, শরিফের বাবা-মা সোমবার রাতে মেয়ের বাড়ি বেড়াতে যান। রাতে শরিফ ও ফয়েজ দোকান বন্ধ করে শরিফের বাড়ির একটি ঘরে ঘুমান। মঙ্গলবার সকালে তাদের সাড়া না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে লাশ দেখতে পান স্বজনরা।
পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
ওসি আইয়ুব বলেন, শরিফুলকে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় আর কর্মচারী ফয়েজকে বিছানায় রক্তমাথা অবস্থায় পাওয়া গেছে।
“ধারণা করা হচ্ছে ফয়েজকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং শরিফুলকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছে।”
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান ওসি আইয়ুব।