যশোরে শ্বশুরবাড়িতে প্রবাসী যুবকের মৃত্যু, অভিযোগ হত্যা

যশোরে শ্বশুরবাড়িতে মালয়েশিয়া ফেরত এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে, যেটাকে 'পরিকল্পিত হত্যা’ বলছেন স্বজনরা।

বেনাপোল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 July 2021, 02:30 PM
Updated : 26 July 2021, 03:35 PM

সোমবার সকালে জেলার অভয়নগর উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের শংকরপাশা শাহিনপাড়া গ্রাম থেকে পুলিশ তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে।

শ্বশুরবাড়ির লোকজন আত্মহত্যা বললেও মৃতের স্বজনরা বলছেন ‘পরিকল্পিত হত্যা’।

মৃত শরিফুল ইসলাম (৪০) যশোরের শার্শা উপজেলার সামটা গ্রামের হানেফ মোড়লের ছেলে।

তার শ্বশুর আবুল হোসেন হোসনার বাড়ি একই জেলার অভয়নগরের শ্রীধরপুর ইউনিয়নের শংকরপাশা শাহিনপাড়া গ্রামে। 

শরিফুলের স্ত্রী শিল্পী বেগম বলেন, রোববার গভীর রাতের কোনো এক সময় তার স্বামী ঘরের মধ্যে ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

শরিফুলের বাবা হানেফ মোড়ল বলেন, ছেলে বিদেশ থেকে বউয়ের কাছে টাকা পাঠাত। দেশে এসে পাঠানো টাকার হিসাব চাইলে তাদের সংসারে বিভিন্ন সময় অশান্তি লেগে থাকত।

শরিফুল বিদেশ যাওয়ার পর তার স্ত্রী বাবার বাড়ির এলাকায় ‘পরকীয়া’ সম্পর্কে জড়ান বলে অভিযোগ তুলে হানেফ মোড়ল বলেন, “ওই টাকা এবং পরকীয়া পাকাপোক্ত করতে পরিকল্পিতভাবেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।”

এদিকে অভয়নগর থানা পরিদর্শক (তদন্ত) মিলন কুমার মন্ডল বলেন, “আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। এটি আত্মহত্যা না হত্যা সেটি এখনই বলা সম্ভব না।”

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে, বলেন তিনি।

শরিফুলের মা সামছুন্নাহার সামু ছেলের মৃত্যু সংবাদ শোনার পর থেকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন।

শেকাবিহ্বল সামছুন্নাহার বলেন, “আমার ছেলে কালকে (রোববার) শ্বশুরবাড়ি গেল। ও আত্নহত্যা করতি পারে না। ওরে বালিশ চাপা দিয়ে মেরেছে। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।”

শরিফুলের মামা আকবার আলি ধুদুলি বলেন, তার ভাগ্নে ১৮ বছর মালয়েশিয়ায় ছিলেন। গত অগাস্ট মাসে দেশে ফিরেছেন। করোনার কারণে আর যেতে পারেননি।

ওখান থেকে স্ত্রীর কাছে টাকা-পয়সাসহ দশ ভরি সোনা পাঠান উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এসব নিয়ে সে বাবার বাড়ি চলে যায়। সে বউ আনার জন্য গেল। আমরা লাশ আনতি গেলি বাড়ি কারও পাইনি। তারা আমাদের দেখে সবাই পালিয়েছে।"

শার্শার সামটা গ্রামের ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমান জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।