শনিবার ও রোববার হাসপাতালের পুরাতন ভবনের নিচতলায় জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) কক্ষের দরজার সামনে পলেস্তারা খসে পড়ে।
এ সময় আতঙ্কিত কর্মচারী, জরুরি বিভাগের সামনের রোগী ও স্বজনদের ছোটাছুটি পড়ে যায়।
হাসপাতালের ইপিআই টেকনোলজিস্ট জামশেদ আলম বলেন, সকালে অফিসে এসে দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন। এমন সময় তার পেছনে হঠাৎ করে ছাদ থেকে বড় এক টুকরা পলেস্তারা খসে পড়ে। অল্পের জন্য তিনি প্রাণে বেঁচে যান। এরপর জরুরি বিভাগ ও জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের কক্ষের সামনেও একইভাবে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে।
“এর আগের দিনও জরুরি বিভাগের সামনে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছিল। যেভাবে অফিসের সামনে পলেস্তারা খসে পড়েছে তাতে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।”
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাদেকুল করিম বলেন, হাসপাতালের বারান্দা ও বিভিন্ন কক্ষে ছাদের পলেস্তারা প্রায়ই খসে পড়ছে। তারা ঝুঁকি নিয়ে ভবনটিতে চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছেন। দ্রুত সংস্কার না হলে ভবিষ্যতে আরও বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
নাম ও পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে হাসপাতালের পুরোনো ভবন সংস্কার কাজের জন্য ২৭ লাখ টাকা বরাদ্দের কথা শুনেছেন। কিন্তু গত তিনবছরেও তিনি কোন সংস্কার কাজ হতে দেখেননি। সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. উৎপল দাশ বলেন, হাসপাতালে নতুন ভবন নির্মাণ হলেও কক্ষ সংকটের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ পুরোনো ভবনেও চিকিৎসা সেবা এবং প্রশাসনিক কাজ চালাতে হচ্ছে। পুরোনো ভবনটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে নিয়মিত বিরতি দিয়ে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে। ফলে চিকিৎসক-কর্মচারী ও রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। মাঝে মধ্যে ছোট সংস্কার করা হলেও বড় সংস্কার কাজ করে ভবনটি ব্যবহারের উপযোগী করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষ দ্রুত সংস্কারের আশ্বাসও দিয়েছেন।