রোববার সকালে কালকিনি পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় বর্তমান ও সাবেক কাউন্সিলরের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।
আহতদের মধ্যে কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন বেপারী (৫০), বিল্লব বেপারী (২১), জাহাঙ্গীর বেপারী (৫০) ও সাইফুল বেপারীসহ (২০) অন্তত সাত জনকে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কালকিনি পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মো. আনোয়ার হোসেন বেপারীর উদ্যোগে গত ১৮ জুলাই কোরবানির ঈদ উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে ফেস্টুন টানানো হয়। ঈদের রাতেই ফেস্টুনগুলো কে বা কারা ছিঁড়ে ফেলে।
এই ঘটনার জের ধরে কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন বেপারী ও সাবেক কাউন্সিলর তোফাজ্জেল হোসেন দাদনের সমর্থকরা সকালে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে কালকিনি থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এই ব্যাপারে আনোয়ার হোসেন বেপারী বলেন, “আমি মারামারি থামাতে গেলে আমাকে রক্তাক্ত করা হয়েছে। হামলাকারীরা রাতের আঁধারে ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলেছে; ৩-৪টি বসত বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা সবাই সাবেক কাউন্সিলর দাদনের সমর্থক।”
এই বিষয়ে তিনি থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানান।
সাবেক কাউন্সিলর তোফাজ্জেল হোসেন দাদন বলেন, “যারা বর্তমান কাউন্সিলরের লোকজনের সাথে মারামারি করেছে তারা কেউ আমার লোক নয়। বিষয়টি একান্তই তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। পূর্ব থেকেই তাদের মধ্যে শত্রুতা চলে আসছে।”
কালকিনি থানার ওসি ইসতিয়াক আসফাক রাসেল বলেন, “আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।”
এখনও পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি, অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।