তাদের অনেকে মাস্ক পরেননি এবং দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়াননি। এ ব্যাপারে প্রশাসনও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সদ্যঘোষিত আহ্বায়ক কমিটি প্রত্যাখান করে তা বাতিলের দাবিতে শনিবার বেলা ১১ টায় পাকুন্দিয়া উপজেলা শহরের ঈদগাহ ময়দানের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। শুক্রবারও তারা একই দাবিতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন।
শনিবার মানববন্ধন শেষে উপজেলা ডাকবাংলোয় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম- আহ্বায়ক মোতায়েম হোসেন স্বপন।
তিনি বলেন, “ঈদের পরদিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় মো. সোহরাব উদ্দিনকে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক করে এক সদস্যের কমিটি গঠিত হয়েছে।
“সোহরাব উদ্দিন একজন বিতর্কিত ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা ট্রাইব্যুনালে তদন্তাধীন আছে। তার মত বিতর্কিত লোকের হাতে আওয়ামী লীগ নিরাপদ নয়।”
কর্মসূচিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবীর, সাবেক কোষাধ্যক্ষ মো. বোরহান উদ্দিন, জেলা শ্রমিক লীগের উপদেষ্টা আতাউল্লাহ সিদ্দিক মাসুদ, উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি বাবুল আহমেদ ও বিভিন্নি উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা ছিলেন।
কিশোরগঞ্জ-২ (পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী) আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ এই আহ্বায়ক কমিটির বিরোধিতা করে বলেন, “সোহরাব উদ্দিনকে আহ্বায়ক হিসেবে পাকুন্দিয়ায় আওয়ামী লীগের কেউ মেনে নেবে না।”
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজল।
তিনি বলেন, “সকল নিয়ম মেনে বিধিসম্মতভাবেই কমিটি গঠিত হয়েছে। দীর্ঘদিনের শূন্যতা কাটিয়ে সংগঠনকে গতিশীল করতে সর্বসম্মতভাবে সোহরাব উদ্দিনকে যোগ্য মনে হয়েছে।”
আর লকডাউনের মধ্যে কর্মসূচি করা প্রসঙ্গে পাকুন্দিয়ার ভারপ্রাপ্ত ইউএনও সহকারী কমিশনার (ভূমি) একেএম লুৎফুর রহমান বলেন, তাদের না জানিয়ে এবং কোনো অনুমতি ছাড়াই এই কর্মসূচি করা হয়েছে।
“তারা দুইদিন ধরে কর্মসূচি পালন করেছেন। আমরা খবর পেয়ে তাদের বারণ করেছি। ভবিষ্যতে আর এ রকম না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা।”