শনিবার সকালে দীঘি জুড়ে মরা মাছ মরে ভেসে উঠে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফারাজুল কবির বলেন, সাগরদীঘির পাশেই কোরবানির পশুর হাট বসেছিল। ধারণা করা হচ্ছে, সেখান থেকে গরুর গোবর, মূত্র ও বর্জ্য বৃষ্টির পানিতে দীঘিতে পড়ে গ্যাস সৃষ্টি হয়ে অক্সিজেনের সংকট দেখা দিতে পারে।
তবে প্রকৃত কারণ খুঁজতে মরা মাছের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলেন তিনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, পুরো দীঘি জুড়ে রুই, পাঙ্গাস, তেলাপিয়াসহ বড় বড় মাছ ভেসে উঠেছে। দিঘীর চারপাশের এলাকায় মরা পচা মাছের দুর্গন্ধে ছড়িয়ে পড়ে। ইজারাদারের লোকজন নৌকা দিয়ে দীঘি থেকে মরা সংগ্রহ করছেন।
সাগরদীঘিতে মাছ চাষ দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা জুয়েল মিয়া জানান, এখানে রুই, কাতলা, পাঙ্গাসসহ মিশ্র মাছ চাষ করা হচ্ছিল। সব মাছ বড়।
ঈদের দিন থেকে মাছ মরে ভেসে ওঠা শুরু হয় জানিয়ে তিনি বলেন, কোরবানির হাট থাকায় এই কয়দিন মাছ মারা হয়নি। ঈদের পর মাছগুলো ধরে বিক্রয় করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এর আগেই মাছ মরার ঘটনা ঘটল। এতে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
তবে দীঘির পাড়ের ওই হাটের ইজারাদার হাজী আজিজুর রহমান দুলাল বলছেন, কেউ শত্রুতা করে করে মাছ মেরেছে।
তিনি বলেন, “শ্রীমঙ্গলে একটি চক্র গত ছয় মাস ধরে গ্যাস দিয়ে রাতের আঁধারে মাছ মেরে নিয়ে যায়। ইতিমধ্যে এমন বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। ভাড়াউড়ায় একটি পুকুরে, সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ফিসারিতে, সবুজ বাগ জয়দীপ চক্রবর্তীর পুকুরে এমোনিয়া গ্যাস ছেড়ে অক্সিজেন সংকট করে মাছ মেরে নিয়ে গেছে একটি চক্র।”
সাগর দীঘি পাড়ের ব্যবসায়ী শাহীন আহমদ জানান, প্রথমে বৃহস্পতিবার থেকে দীঘিতে দু-একটা মাছ ভেসে উঠলেও শনিবার সকালে পুরো দীঘি জুড়ে বড় বড় মরা মাছ মরে ভেসে ওঠে। মরা মাছের দুর্গন্ধে চারপাশ ভরে যায়।
মাছগুলো দূরে মাটি চাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।