রংপুর মেডিকেলে অক্সিজেন সিলিন্ডার ‘চুরির চেষ্টা’, আটক ৬

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার চুরির চেষ্টার অভিযোগে ছয় জন আটক হয়েছেন; এই সময় জব্দ করা হয় তিনটি ট্রাক।

রংপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 July 2021, 06:47 PM
Updated : 23 July 2021, 06:47 PM

শুক্রবার বিকালে এই ঘটনা ঘটে বলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অক্সিজেন সিলিন্ডার ইনচার্জ সাঈদ বাবু জানান।

আটকরা হলেন দিনাজপুর সদর উপজেলার বাসিন্দা মো. হাবিল (২৯), সাঈদ হাসান (২৯), মো. সুজন হোসেন (২৯), সাইফুল ইসলাম (৩৪), আশিক রায় (২৮) ও জহুরুল ইসলাম (৪৩)। তাদের সবার বাড়ি দিনাজপুর জেলায়।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ট্রাকচালক হাবিলের কাছ থেকে জব্দ করা ‘বুকিং চালানে’ দেখা গেছে রেজাউল নাম উল্লেখ করা এক ব্যক্তি অক্সিজেন সিলিন্ডার রংপুর থেকে ঢাকায় পরিবহনের জন্য ৪০ হাজার টাকায় ট্রাক ভাড়া করেছেন। চালানে ট্রাকচালকের ফোন নম্বর থাকলেও রেজাউলের কোনো নম্বর ছিল না।

শুক্রবার সকালে দিনাজপুর থেকে তিনজন চালক ও তিনজন হেলপার ট্রাকসহ রংপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হন; বেলা ৩টার দিকে তারা রমেক হাসপাতাল চত্বরে পৌঁছান বলে হাসপাতালের লোকজন জানান।

রংপুর মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রশিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন জানান, অক্সিজেন সিলিন্ডার চুরির বা পাচারের চেষ্টার ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রকৃত ঘটনা জানতে ট্রাকের চালক ও হেলপারসহ ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।

“তাদের জিজ্ঞাসাবাদে মূল বিষয়টি উদঘাটন হবে বলে আশা করছি।”

হাসপাতালের অক্সিজেন সিলিন্ডার ইনচার্জ সাঈদ বাবু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শুক্রবার বিকেলে ঢাকা থেকে হাসপাতালে এক ট্রাক অক্সিজেন সিলিন্ডার আসার কথা ছিল। কিন্তু তার পরিবর্তে দিনাজপুর থেকে আসা খালি ট্রাক তিনটি চালান নিয়ে স্টোরে যোগাযোগ করলে সন্দেহ তৈরি হয়। পরে কথাবার্তায় সন্দেহ হলে তাদের আটক করে বিষয়টি পুলিশে জানানো হয়।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে এটি কোনো প্রতারক চক্রের ষড়যন্ত্র হতে পারেও বলে তিনি জানান।

রমেক হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হাসপাতালের অক্সিজেন সিলিন্ডার ইনচার্জ সাঈদ বাবু ভাইয়ের সন্দেহ হলে তিনি আমাকে খবর দিলে আমি হাসপাতালে চলে আমি এবং পুলিশকে খবর দেই।”

হাসপাতালের পরিচালক ডা. রেজাউল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পুরো ঘটনাটি প্রতারণার ফাঁদ হতে পারে। ট্রাক বুকিংকারী হিসেবে তার নাম থাকার বিষয়টি রহস্যজনক।”

কে বা কারা এ ঘটনায় জড়িত তা তদন্ত করতে পুলিশকে বলা হয়েছে।