এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তালতলী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান।
নিহত জাহাঙ্গীর হাওলাদার (৫৫) উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া এলাকার আমজেদ হাওলাদারের ছেলে।
জাহাঙ্গীরের স্ত্রী শেফালী বেগম অভিযোগ করেন, জহিরুল ইসলাম নামে এলাকার এক ব্যক্তির কাছ থেকে তারা দাদন নিয়েছিলেন। সেই টাকায় তার ছেলে জাল ও নৌকা কেনেন মাছ শিকারের জন্য। কিন্তু টাকা পরিশোধ করতে পারেননি সময়মত। পরে জাল ও নৌকা বেচে আংশিক টাকা পরিশোধ করেন।
“বাকি টাকা সময়মত পরিশোধ করতে না পারায় বৃহস্পতিবার বিকালে জাহাঙ্গীরসহ তার পরিবারের লোকজন মারধর করেন আমার ছেলে, স্বামী, পুত্রবধূ ও আমকে। রাতে আমার স্বামীকে বিছানায় না দেখে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। ভোরের দিকে বাড়ির টয়লেটের সামনে রশি দিয়ে বাঁধা লাশ দেখতে পাই। আমার স্বামীকে জহিরুল হত্যা করে ফেলে রেখে গেছেন। আমি বিচার চাই।”
তবে জাহাঙ্গীর ঘর থেকে নিজে বের হয়েছিলেন নাকি তাকে ডেকে বা তুলে নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি।
ওসি কামরুজ্জামান বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জহিরুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।”
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।