শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাদারীপুরের বাংলাবাজারঘাট থেকে শিমুলিয়ায় আসার পথে ফেরি শাহ জালাল এই দুর্ঘটনায় পড়ে।
সঠিকভাবে পরিচালনায় ‘ব্যর্থ হওয়ায়’ ওই ফেরির ইনচার্জ ইনল্যান্ড মাস্টার অফিসার আব্দুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিআইডব্লিউটিসি।
“এ ঘটনায় পিয়ারের কোনো ক্ষতি হয়নি, তবে ফেরিতে থাকা কয়েকজন সামান্য আহত হয়েছেন।”
ওই ফেরিতে আসা একজন যাত্রী জানান, পদ্মা নদী সকাল থেকেই উত্তাল ছিল, চ্যানেল থেকে মূল নদীতে প্রবেশ করার পর প্রচণ্ড স্রোতের কবলে পড়ে ফেরি। এর মধ্যে চালক ফেরির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। বড় বড় ঢেউ আর প্রচণ্ড বাতাসে ফেরিটি তখন পদ্মাসেতুর ১৭ নম্বর পিয়ারে সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খায়।
“ফেরিতে ছিল ৩৩টি গাড়ি। প্রচণ্ড ঝাঁকির ফলে গাড়িগুলো একটা আরেকটার সঙ্গে ধাক্কা খায়। ফেরির প্রায় দুই হাজার যাত্রীর অনেকেই ফেরির ডেকে পড়ে যান। এ সময় তাদের অন্তত ২০ জন জখম হন। তছনছ হয়ে যায় ফেরির ভেতরের কেন্টিন।”
পরে চালক ফেরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন এবং আর কোনো বিপদ ছাড়াই শিমুলিয়া ঘাটে ভেড়ান।
ফেরি শাহজালালের মাস্টার আব্দুর রহমান বলেন, “ইলেকট্রনিক সার্কিট ব্রেকার পড়ে যাওয়ায় স্টিয়ারিং বিকল হয়ে যায়। সেটা দ্রুত ঠিক করতে পারলেও প্রবল স্রোতে ফেরির সমানের অংশ পদ্মা সেতুর খুঁটির সাথে ধাক্কা খায়। আঘাত পানির লেভেলের নিচে হলে ফেরি ডুবে যেত পারত। যাত্রীরা ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছে।”
আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দওেয়া হচ্ছে।